ওয়েব ডেস্ক: Pegasus মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র সরকার এই কাণ্ডের তদন্তে কি পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার Pegasus মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে কেন্দ্র সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, তারা কোনও হলফনামা কোর্টকে জমা দেবে না। কারণ, এই ধরনের মামলার হলফনামা দেওয়া যায় না। কিন্তু, ঘটনার তদন্তের জন্য সরকার কমিটি গড়তে প্রস্তুত।
Pegasus- তদন্তে কেন্দ্র সরকার কি করছে বা তারা কি পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্র সরকার হলফনামা পেশের জন্য ২ বার সময় নিয়েছিল আদালতের কাছে। কিন্তু, এবার তাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, হলফনামা জমা করতে না চাওয়ার বিষয়টি।
যদিও সলিসিটর জেনারেলের সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ বলেন, ‘হলফনামা পেশ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন রায় ঘোষণা ছাড়া আমাদের কাছে আর অন্য কোন রাস্তা নেই।
এবার দলের সদস্য থাকার বয়স সীমা ৭৫ বেধে দিতে চাইছে কেরল CPIM
এদিন মামলার শুনানিতে পেগাসাস ইস্যুর সঙ্গে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়কে এক করে নিজের বক্তব্য রাখেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত এদিন সাফ বলে দেয়, ‘জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে আমরা জানতে চাই না। কিন্তু, সাধারণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা সেই তথ্যই হলফনামায় জানতে চাওয়া হয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতি এনভি রমন আরও বলেন, ‘জাতীয় সুরক্ষা বা প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত কোন তথ্য জানার ইচ্ছে আমাদের নেই। কিন্তু গুরুতর প্রশ্ন হল, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রদত্ত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা। অর্থাৎ, আইন স্বীকৃত কোনও পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, বিচারক এবং অন্যদের টেলিফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা।
অবশেষে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নামের ফলক থেকে সরল ‘আদানি’ নাম
অন্যদিকে মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন,’আমরা জানতে চাই পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে সরকার নাগরিকের অধিকার হরণ করেছে কি না।’ এদিন সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যে কড়া মন্তব্য করল, তাতে পেগাসাস ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।