ওয়েব ডেস্ক: তথ্যপ্রযুক্তি আইনের 66A ধারা অনুযায়ী কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না। সোমবার সমস্ত রাজ্যকে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক রাজ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রির জেনারেলকে জানিয়েও দিতে হবে বিষয়টা। রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ বহাল হল।
কি এই 66A ধারা ?
অনলাইনে কোনও আপত্তিকর পোস্ট করলে 66A ধারাই গ্রেফতার করা হত। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাইয়ে বাল ঠাকরের মৃত্যুর পর গোটা শহর অচল হয়ে গিয়েছিল। ফেসবুকে তারই সমালোচনা করেন শাহিন ধাদা নামে এক তরুণী। রিনু শ্রীনিবাস নামে অপর এক তরুণী ‘লাইক’ করেন সেই মন্তব্য। দুই তরুণীকেই গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এর আগে সেপ্টেম্বর, ২০১২। মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদী। সংসদ ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে কার্টুন এঁকেছিলেন তিনি। ২০১২ থেকে রাজ্যগুলিতে লাগাতার মামলা দায়ের হতে থাকে এই আইনে’। বাদ যায়নি বাংলাও। কার্টুন-কাণ্ডে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালু রয়েছে এখনও।
ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র বামেরা, বললেন CPIM নেতা অশোকে ভট্টাচার্য
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই সর্বোচ্চ আদালত 66A ধারাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছিল। অনলাইনে কোনও আপত্তিকর পোস্ট করলে 66A বলে গ্রেফতার করা আদালতের কাছে মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার খর্ব করার সমান। গত ৫ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, তারা বিস্মিত। কারণ, এখনও 66A ধারায় মামলা দায়ের হচ্ছে। যা খারিজ হয়েছে ৫ বছর আগে। বিচারপতি জে চেলামেশ্বর এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে বলে, 66A অস্পষ্ট ও ইচ্ছা মতো তৈরি হয়েছিল। সরকার এসেছে, গিয়েছে। কিন্তু ধারা রয়ে গিয়েছে।