কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় YAAS এগিয়ে আসছে। আর তা ঘিরে বাড়ছে চিন্তা। প্রাণ রক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজন কে সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে পুর দমে। এর মধ্যেই রয়েছে ঝড়ের সময়ে বা পরে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হইয়ে যাওর চিন্তা। এই নিয়ায়ে ইতিমধ্যেই তৎপর টেলিকম সংস্থা সেলুলার অপারেটর’স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই)।
সোমবার সিওএআইয়ের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার টেলিকম পরিকাঠামোয় ঘূর্ণিঝড় YAAS এর প্রভাব ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে তারা। ফোনের সংযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ‘ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং’ পরিষেবা চালু করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ‘সেল অন হুইলস’ (সিওডব্লুএস)-এর মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে দুর্যোগের মধ্যেও নির-বিচ্ছিন্নভাবে মোবাইল ফোন পরিষেবা চালানো যেতে পারে।
সিওএআই জানিয়েছে, তারা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (এনডিএমএ) ছাড়াও রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। তাছাড়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা অধীনস্থ সংস্থাগুলো ও তাদের সদস্যদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাতে ছেদ না-পড়ে সেক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর সব চেয়ে কম পড়ে, সেই দিকটাও নিশ্চিত করতে চাইছে তারা। কোথাও কোনও সমস্যা হলে, পরিষেবা সচল রাখতে দ্রুত মেরামতির কাজও করা হবে। যেখানেই বাধা আসবে, প্রথমে সেখানে পৌঁছে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও টেলিকম দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে যে এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকবে, সেখানে ‘ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং’ পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।
কি এই ‘ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং’ পরিষেবা?
এই প্রসঙ্গে সিওএআই বলেছে যে, এই ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং পরিষেবা হল, কোনও গ্রাহকের যে সংস্থারই মোবাইল সংযোগ থাকুক না কেন, ঝড়ের সময় বা পরে যে নেটওয়ার্ক কাজ করবে, তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় ভাবে গ্রাহকের মোবাইল সংযোগ জুড়ে যেতে সক্ষম হবে। তার জন্য শুধুমাত্র গ্রাহকের তাঁর নিজস্ব সংস্থার নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না।
নন্দীগ্রামের পর ভবানীপুরেও মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হতেপারে মীনাক্ষী
সিওআইএর ডিরেক্টর জেনারেল এসপি কোচর ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘ মোবাইল ফোন পরিষেবা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন রাখা য়ায়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’শুধু তাই নয়, মোবাইল টাওয়ারগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সেক্ষেত্রে মোবাইল টাওয়ারগুলোর জেনারেটরে ডিজেল ও ব্যাটারি ব্যাকআপও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যদি কোথাও পাওয়ার গ্রিডের তার ছিঁড়ে যায়, সেক্ষেত্রে ‘সেল অন হুইলস’-এর ফ্রন্ট-লাইন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওভারহেডের ত্রুটিযুক্ত অপটিক ফাইবার কেবলগুলো সনাক্ত করে দ্রুত মেরামতির কাজও করবে।
ঘূর্ণিঝড়ে কথাও কথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় রয়েছে। এর ফলে যেতে টেলিকম টাওয়ার বন্ধ না হইয়ে যাই সে বাপারেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। একই সথে বলা হইছে, যন্ত্রপাতি বিকল হলে দ্রুত সারাই এর জন্য স্পেয়ার পার্টস আগে থেকে মজুত রাখতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে যেন মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হই এই নির্দেশই দেওয়া হইছে।