Table of Contents
গরমকালের ভ্যাপসা গরম হল ঘামাচির অন্যতম কারণ। ঘামাচির এই সমস্যা তরুণ হোক বা বয়স্ক সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি এবং এটি এই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডাক্তারের ভাষায় এর নাম মিলিয়ারিয়া। ঘাম, ঘামচি শব্দ থেকে এর নাম এসেছে ঘামাচি। যা মূলত এক ধরনের চর্মরোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের সময় অনেকের ত্বক লাল হয়ে যায়, যা চুলকানি নামে পরিচিত। ঘামাচির কারণে তীব্র চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হয়। সাধারণত সারা শরীরে ঘামাচি হয়। কিন্তু ঘামাচি বেশি হয় পিঠে, বুকে, কপালে, গলায় ও ঘাড়ে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঘামাচিতে ভোগে। কিন্তু কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ঘামাচি এড়ানো যায়। যেমন-
- যাদের মাথার গোড়ায় অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাদের সংক্রমণ এড়াতে সময় সময় চুল শ্যাম্পু করা উচিত।
- গরমে সবসময় ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন। যাতে অস্বস্তি না হয়।
- যারা প্রচুর ঘামেন তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘামের পোশাক পরিবর্তন করা উচিত। সঙ্গে নরম কাপড়, তোয়ালে বা রুমাল রাখুন। যাতে ঘাম হলেই তা মুছে ফেলতে পারেন।
- নিয়মিত স্নান করুন। তাপমাত্রা বেশি হলে দিনে দুবার স্নান করুন। তবে মনে রাখবেন, স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল দিয়ে স্নান করুন। শরীর সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
- এই গরমে শিশুকে ডায়াপার না পরানোই ভালো। এর কারণে ঘামাচি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- এছাড়াও, যতটা সম্ভব তাপ এড়িয়ে চলুন। ফ্যানের নিচে, এসিতে থাকলে ঘামাচি কম হয়।
আরও পড়ুন : পায়ের গোড়ালি ফেটে বেরোচ্ছে রক্ত? সমাধান লুকিয়ে আছে আপনার রান্নাঘরে!
কিন্তু আমাদের এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ঘামাচির ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যেমন-
মুলতানি মাটি
চুলকানিতে মুলতানি মাটির পেস্ট খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই পেস্টটি তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে ৪/৫ চা চামচ মুলতানি মাটি, ২/৩ চা চামচ গোলাপ জল এবং জল। এই পেস্টটি ঘামাচিতে ২/৩ ঘণ্টা লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে কয়েক দিনের মধ্যেই ঘামাচি সেরে যাবে।
নিম গাছের পাতা
ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধান রয়েছে নিম পাতায়। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিও ঘামাচি থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। কারণ, নিম পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা ঘামাচি সারাতে সাহায্য করে। নিম পাতার পেস্ট শরীরে লাগিয়ে পুরোপুরি শুকাতে দিন। শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। দিনে ৪-৫ বার ব্যবহার করতে পারলে ঘামাচির সমস্যা চলে যাবে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় ফাঙ্গাল ইনফেকশনের আক্রমণ, আতঙ্কিত না হয়ে ভরসা করুন এই ঘরোয়া প্রতিকার!
বরফ
আমাদের দাদা-দাদিরা বহু শতাব্দী ধরে এটি ব্যবহার করে আসছেন। এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ঘামাচির থেকে মুক্তি পেতে ওই স্থানে বরফ ঘষুন। এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা জলও ব্যবহার করতে পারেন।