ওয়েব ডেস্ক: আপাতাত ‘দুই সন্তান নীতি’ প্রণয়ণ করা হচ্ছে না। এমনি কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। এইদিন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ উদয় প্রতাপ সিংয়ের করা প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার এই কথা জানিয়েছেন। সাথে তিনি এটাও জানিয়েছেন অদূর ভবিষ্যতে এই নিতি প্রয়োগ হতেও পারে।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই পরিবার কল্যাণ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। ২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া জাতীয় জনসংখ্যা নীতির অধীনস্থ এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ২০৪৫ সালের মধ্যে দেশের জনসংখ্যাকে অপটিমাম লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশবাসীকে স্বেচ্ছায় পরিবার পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে৷ এই ক্ষেত্রে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রদান করা হয়নি।’
অসম ও উত্তরপ্রদেশের মতো BJP শাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতি প্রয়োগ করার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশজুড়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের অবসানের লক্ষ্যেই রাতারাতি অবস্থান বদল করল কেন্দ্রীয় সরকার।
ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে কত শতাংশ মানুষ টিকা পাবেন? ডেরেকের প্রশ্নে ‘NO DATA’ স্বাস্থ্য মন্ত্রীর
তাৎপর্যপূর্ণ হল, অসম ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই খোলাখুলি জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের রাজ্যে ধীরে ধীরে দুই সন্তান নীতি প্রয়োগ করতে চাইছেন৷ আরও একধাপ এগিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৫০ জন প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন৷ পুরো প্রকল্পটি নিয়ে তাঁরা কতটা উৎসাহী তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানেই৷ তাঁর কথায়, ‘কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে বড় ঘোষণা করা হবে, যেখানে দুই সন্তান নীতি প্রয়োগ করা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানানো হবে৷’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রভাবশালী সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেছেন এবং পুরো প্রকল্পটি নিয়ে তাঁরা কতটা উৎসাহী তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানেই। তাঁর কথায়, ‘কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে বড় ঘোষণা করা হবে, যেখানে দুই সন্তান নীতি প্রয়োগ করা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানানো হবে।’
১৯৯১ সালের থেকেও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত, আশঙ্কা মনমোহনের
একইরকম ভাবে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য ল-কমিশনের চেয়ারম্যান আদিত্যনাথ মিত্তলও একই কথা বলেছেন। তাঁর যুক্তি, ‘রাজ্য ল কমিশনের তরফে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার কল্যাণ নিয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব, দুই সন্তান নীতি মেনে চলা দম্পতিদের সব রকমের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।’