ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির বিজেপির বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াই নিশ্চিত করতে বাম নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন ব্রাত্য বসু। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,’আপনারা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। আমরা সঙ্গে আছি। একদম প্রত্যাশিত প্রশ্ন, বিজেপিকে রুখতে ত্রিপুরায় কি সিপিএম-তৃণমূল সমঝোতা? ব্রাত্য বলেন,’সিপিএমকে ঠিক করতে হবে সিপিএম কি চাইছে। বামপন্থী নেতাদের শ্রদ্ধা করি। রাস্তায় নামতে হবে। নইলে কর্মীদের ছেড়ে দিন। তাঁদের তৃণমূলের পতাকার তলায় আসতে দিন। সিপিএমের থেকে চাওয়ার কিছু নেই। ঐতিহাসিক ভুল করবেন কিনা তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
ত্রিপুরায় নতুন করে সংগঠন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল। সে রাজ্যে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,’বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র বিকল্প তৃণমূল। সিপিএমের নেতা, কর্মীরা লড়াই করতে চাইলে স্বাগত।’ শনিবার সেই সুরেই বার্তা দিলেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়,’বাংলার সিপিএম যে ভুল করেছে ত্রিপুরার সিপিএমকে সেই ভুল না করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা ওখানে বিজেমূল স্লোগান দিয়ে পরে প্রত্যাহার করেছেন। একই ঐতিহাসিক ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না। ত্রিপুরা বদলের মুখে দাঁড়িয়ে। পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে। নতুন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন মানুষ। সেই স্বপ্নে উড়ান দিচ্ছেন সারা ভারতের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই দল। মাঝখানে নেই কিছুই। বামপন্থীদের বলছি আপনারা আসুন।’
পঞ্চায়েত দপ্তরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধছে Amazon-Flipkart, হস্তশিল্পের বাজার টানতে এই উদ্যোগ
এদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই বিজেপিও। চলতি সপ্তাহেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিকে ডেকে ম্যারাথন বৈঠক করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, স্থানীয় বাম নেতা-কর্মীদের দলে টানতে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ত্রিপুরায় বামেরা এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই বাম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে টানাটানি স্বাভাবিকই। ত্রিপুরার নতুন সমীকরণ নিয়ে জল্পনায় শুক্রবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কৌশলী মন্তব্য করেন,’নির্বাচন এখনও দূরে। গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে যাবে। এটা আপনাদের জল্পনা। মূল কথা সিপিএম সেকুলার। বিজেপির বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছি। বিজেপির প্রধান টার্গেটও আমরা।’