ওয়েব ডেস্ক: লক্ষ্য স্পষ্ট ২০২৪। যার তৎপরতা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। আগামী ২১ শে জুলাই রাজ্য জুড়ে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। ২৭ বছরে পা রাখতে চলেছে একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূল ২০২৪-কে পাখির চোখ করেছে। সেই লক্ষ্যে সমস্ত আন্দোলন, কর্মসূচি ও অভিযান সাজাচ্ছে তারা। তারই ফলশ্রুতি একুশে জুলাইকে প্রথমবার দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ বছরও সমাবেশ ভার্চুয়ালই হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃতীয়বার রেকর্ড মার্জিনে জিতে আসার পর ভিনরাজ্যেও সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলার শাসকদল। সেই উদ্দেশেই এবার ২১শে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো যে ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার হবে দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউতে থাকা দলীয় কার্যালয়ে।
দিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার তো হবেই। এর পাশাপাশি অসম এবং ত্রিপুরার মতো রাজ্যে যেই অঞ্চলে বাঙালি প্রভাব রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকাতেও মমতার ২১ শে জুলাইয়ের ভাষণ সম্প্রচারিত হতে পারে। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সমস্ত প্রতিকূলতাকে নিরস্ত্র করে যেভাবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জয়লাভ করেছে, তাতে এই বছরের ২১ শে জুলাই যে তৃণমূলের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিশেষ দিনে মমতা নিজের ভাষণের মাধ্যমেই আগামীর রোডম্যাপ পরিষ্কার করতে পারেন বলে মনে আশাবাদী তৃণমূল কর্মীরা।
২২ জুলাই দুপুর তিনটেয় প্রকাশিত হতে চলেছে এবারের উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ
প্রতিবার ধর্মতলায় শহিদ তর্পণ করে একুশে জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালে করোনার হানায় তা ভার্চুয়াল পালন করতে হয়। ২০২১-এ তৃণমূলের বিশাল জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন একুশের ২১ জুলাই বিজয় উৎসব পালন করা হবে। কিন্তু সেখানেও বাধ সেধেছে করোনা।
অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ শে জুলাইয়ের আগেই রাজধানীতে শুরু হয়ে যাবে বাদল অধিবেশন। ফলে তৃণমূলের রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা ওই সময়টা দিল্লিতেই থাকবেন। ফলে তাঁরা দিল্লি থেকেই যোগ দেবেন এই অনুষ্ঠানে। বেশিরভাগ সাংসদেরাই কলকাতায় আসবেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা জানিয়েছেন, দিল্লিতে ভাষণ সম্প্রচারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। তবে ত্রিপুরা ও অসম নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে পরিকল্পনা মাফিক এগোলে এই দুই রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশের মঞ্চের ভাষণ শোনা যাবে।
এবার ডেল্টা প্লাস নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব
উল্লেখ্য, ১৯৯৩-এ ‘নো আইডেন্টিটি, নো ভোট’ স্লোগানকে হাতিয়ার করে রাইটার্স অভিযান করেছিল যুব কংগ্রেস। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই অভিযানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন তরতাজা যুবক। সেই শহিদদের স্মৃতি তর্পণে প্রতিবছর ২১ জুলাই পালন করা হয়।