ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের পরিসংখ্যান নিয়ে কিছু তথ্যগত গরমিল সামনে এসেছে। গত সপ্তাহেই ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ৯০ জন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এরপর শুক্রবার জানানো হয়, ১৫২ টি নমুনার মধ্যে ১৩৮ টি নমুনাতেই অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়া ১০টি নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।
এক দিকে যখন রাজ্য বলছে কমপক্ষে ১৩৮ জন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত অন্যদিকে সেই দাবিকে উড়িয়ে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়, ত্রিপুরায় অতি সংক্রামক ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোনও রোগীই নেই। এ বার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কেন এই তথ্যের ফারাক, বোঝালেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ধরনের ভ্যারিয়েন্ট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে পারে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ‘ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের প্যারামিটার বদলে যায়। যেমন ধরা যাক, কোনও ভ্যারিয়েন্টের প্যারামিটার ১.৬৬৪। এটা বদলে যেতে পারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ১৫ দিন আগে হয়ত একটা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, ১৫ দিন পর সেটা বদলে যেতে পারে।’ তবে তাঁর আশ্বাস কেন্দ্র ত্রিপুরার করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
LIC-র বিলগ্নিকরণের পথে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র
সম্প্রতি ত্রিপুরা একটি রিপোর্টে জানায় সে রাজ্যে ১৩৮টি নমুনায় ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১টি নমুনা বি.১.৬১৭.১ বা কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট এবং ১৩৮টি নমুনায় বি.১.৬১৭.২ বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে কোনও নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টেই ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের উল্লেখ নেই।’