ভারতের অপারেশন সিন্দুরের পর, পশ্চিমবঙ্গের চিকেন নেক করিডোরে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও কঠোর করা হয়েছে। এখন তার প্রতিবেশীদের একটি শক্ত বার্তা দিতে, ‘সুদর্শন চক্র’ অর্থাৎ ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা S-400 শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডোরে মোতায়েন করা হয়েছে! রাফায়েল যুদ্ধবিমানের সাথে!
লক্ষণীয় যে, একদিকে যেমন পশ্চিমে পাকিস্তান ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ, তেমনি মুহাম্মদ ইউনূসের পরে পূর্বে বাংলাদেশও ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুহাম্মদ ইউনূসের ভারত বিরোধী বক্তব্য যেমন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে, ঠিক তেমনই চীন ও পাকিস্তানের সাথে ইউনূস সরকারের ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বও ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ। সম্প্রতি, চীনা সেনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি পুরাতন বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। যা ভারতের শিলিগুড়ি চিকেন নেক করিডোরের খুব কাছে অবস্থিত। আর ভৌগোলিকভাবে, শিলিগুড়ির এই ‘চিকেন নেক’ করিডোরটি ভারতের জন্য কৌশলগত ভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ‘চিকেন নেক’ করিডোরটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে।
আর তাই, প্রতিবেশীদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য, ভারত শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডোরে তার সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি, ভারতীয় সেনাবাহিনী এই চিকেন নেক করিডোর এলাকায় একটি সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে। সূত্রের খবর, সেই মহড়ার সময়, বাংলার এই চিকেন নেক করিডোরে রাশিয়ার তৈরি S-400 ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছিল, যা একসাথে 400 কিলোমিটার পর্যন্ত একাধিক বিমান হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছিল যে বাংলাদেশ, চীন, নেপাল এবং ভুটান দ্বারা বেষ্টিত পশ্চিমবঙ্গের চিকেন নেক রক্ষার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী তার প্রস্তুতিতে কোনও কসরত ছাড়ছে না। শিলিগুড়ির প্রায় 22.5 কিলোমিটার দীর্ঘ চিকেন নেক করিডোরে রাশিয়ার তৈরি SAM (Surface to Air Missile) ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে।