ওয়েব ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পক্ষ থেকে বুধবার ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র ভ্যাকসিনে সিলমোহর দেওয়া হল। ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে যে ভ্যাকসিনে অনুমোদন মিলেছে, তার নাম “আরটিএস, এস/এএস জিরো ওয়ান” (RTS,S/AS01)। প্রচলিত নাম “মস্কুইরিক্স” (Mosquirix)। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের শিশুদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই রোগের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যান।
WHO-র ডিরেক্টর-জেনারেল টেডরোস আধানম ঘেব্রেসাস বললেন, ‘এই ভ্যাকসিনটি আফ্রিকায় তৈরি হয়েছে। আফ্রিকার গবেষকরাই এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। আমরা প্রত্যেকেই অত্যন্ত গর্বিত।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘গোটা বিশ্বের কাছে এই ভ্যাকসিনটা উপহার হিসেবে এসেছে। তবে এটা আপাতত আফ্রিকা মহাদেশেই ব্যবহার করা হবে।’ তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিদ্যমান মাধ্যমগুলির সঙ্গে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করলে প্রতি বছর হাজার হাজার তরুণের জীবন বাঁচাতে পারে।
লখিমপুর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের, শুনানি বৃহস্পতিবারই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মূলত আফ্রিকা মহাদেশে শিশুদের মধ্যে অতিমারীর চেহারা নিয়েছে ম্যালেরিয়া। হু-র সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিকায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের নীচে আড়াই লক্ষেরও বেশি শিশুর ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু হয়। WHO জানিয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৯৪ শতাংশ মানুষই ম্যালেরিয়ার কারণে মারা যান। মানবদেহে মশা কামড়ানোর পর এই রোগ একটি শরীর থেকে অন্য শরীরে পরজীবীর মতো ছড়িয়ে যায়। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর, বমি এবং ক্লান্তি।
প্যান্ডোরার ঝাঁপি খুলতেই ফাঁস ভারতীয় প্রভাবশালীদের নাম
তবে এই ভ্যাকসিন আফ্রিকার মাত্র ৩০ শতাংশ শিশুর ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করতে পেরেছে। কিন্তু, এছাড়া আর কোনও উপায়ও নেই। কারণ এটাই একমাত্র ভ্যাকসিন যাতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রেগুলেটর এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছিল। জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেবে। প্রায় ৬ বছর পর এবং পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হওয়ার বছর দুয়েক পর WHO আফ্রিকা মহাদেশে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিল। কারণ এখানেই ম্যালেরিয়া অতিমারির আকার ধারণ করেছে।