ওয়েব ডেস্ক: বিজেপিতে ভাঙন ব্যাহত। এবার দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ কালুপুর বাজারে মিলন মেলার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্য সহ প্রায় বারোশো কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলো রানি সরকার।
এই যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলে বনগাঁর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ইলা বাগচি, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজীব চৌধুরী সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। আলো রানি সরকার বলেন, দুই পঞ্চায়েত সদস্য ও বিজেপির অটো , টোটো ইউনিয়ান সহ মোট বারোশো কর্মী-সমর্থক যোগদান করেছেন। আগামী দিনে আরও অনেকে যোগ দেবেন বলে তৃনমূল খবর।
খড়দহে বিজেপি ভাঙন তৃণমূলে যোগ প্রায় ৫০০ কর্মীর
এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের প্রধান বিজেপির মেম্বারদের চাপে রেখেছেন। কোনও কাজ দিচ্ছেন না। চাপের মুখে পড়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছেন। কিন্তু, তাঁরা বলে গিয়েছেন, তাঁদের শরীর যাচ্ছে, মন বিজেপিতেই থাকছে।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দুই বহিষ্কৃত নেতা-নেত্রী। ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান বিজেপির মহিলা মোর্চার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভানেত্রী উত্তরা বাউরি ও বিজেপির কিষাণ মোর্চার বহিষ্কৃত জেলা সভাপতি বুদ্ধদেব মালো।
হালিশহর ও কাঁচড়াপাড়ায় বিজেপি ভেঙ্গে তৃনমূলে যোগ দিনে কয়েকজন কাউন্সিলর এবং কয়েকশো কর্মী
তৃণমূল শিবিরের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতেই ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতা-নেত্রী। বিজেপির প্রতিক্রিয়া দেয়, দলবিরোধী কাজের জন্য আগেই বহিষ্কার করা হয়েছে ওই ২ জনকে।