আবারও জাল নথি তৈরির এক চক্রের হদিস! আর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মীনাখাঁ থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ একটি জেরক্স সেন্টারে অভিযান চালায়, যা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহের মধ্যে ছিল। জেরক্স সেন্টারের পিছনে জাল আধার কার্ড তৈরির ব্যবসা। দুইজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি, মীনাখান থানার পুলিশ একটি ল্যাপটপ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন সহ অনেক জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম বাকিবিল্লাহ গাজী এবং আব্দুল মতিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মীনাখাঁর একটি বাজারে এই জেরক্স সেন্টারটি চলছিল। বাইরে থেকে এটি দেখতে একটি সাধারণ দোকানের মতো মনে হলেও, ভেতরে তথ্য জালিয়াতির গভীর ব্যবসা চলছিল। এলাকার অনেক বাসিন্দা সেখানে বিভিন্ন সরকারি নথির ফটোকপি বা সংশোধন করিয়ে নিতেন। অভিযোগ রয়েছে যে কিছু অসাধু কর্মচারী জাল আধার, জন্ম সনদ এমনকি ভোটার কার্ড তৈরির একটি চক্র চালাচ্ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দোকানে অজ্ঞাত লোকের সংখ্যা বেড়েছে। এলাকার কিছু বাসিন্দা এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে অবহিত করেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আকস্মিক অভিযান চালায়। প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে বাকিবুল্লাহ এবং মতিনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন বর্তমানে দোকানটি সিল করে দিয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে বসিরহাট জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জেরক্স সেন্টারের ভেতর থেকে অনেক সন্দেহজনক নথি এবং আধার সংশোধন সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপ শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, শাসক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই ধরণের ব্যবসা বাড়ছে। সীমান্ত পার হওয়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য জাল আধার এবং ভোটার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে রাস্তায় এবং পাড়ায় এমন অনেক কেন্দ্র খুলেছে। তৃণমূলও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। স্থানীয় নেতা সুরেশ মণ্ডল স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তৃণমূল কোনও অবৈধ কার্যকলাপকে সমর্থন করে না। প্রশাসন তার কাজ করছে। প্রশাসনের কাজে দল হস্তক্ষেপ করবে না।