ডিজিটাল ডেস্ক : একদা শাসন ছিল বামেদের শক্ত ঘাটি। এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সেই শাসন এলাকাতেই CPIM ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করল ৭০০ কর্মী, সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা খবরই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও CPIM কর্মীর তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় বাম নেতৃত্ব।
শাসনের কীর্তি-পুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় CPIM-র এক সময় শক্ত ঘাঁটি ছিল। সেই কীর্তি-পুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িবাড়িতে CPIM থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন প্রায় ৭০০ জন CPIM নেতা, কর্মী-সমর্থকরা। হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজি নজরুল ইসলাম ও বারাসাত দু’নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় সিপিএম নেতা মহম্মদ ইসরাইল-সহ একাধিক নেতা কর্মীর হাতে।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বাম বিধায়কের দলবদল নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, সিপিএম থেকে তৃণমূল আসার জন্য নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, ৪০০ জন তুলে নিলেন কাস্তে-হাতুড়ির পতাকা
এই প্রসঙ্গে মহম্মদ ইসরাইল বলেন, “দিদির উন্নয়ন দেখে আজকে আমরা তৃণমূলে যোগদান করেছি। আজকে বাংলার এত কোটি টাকা বকেয়া আছে, মোদী সরকার সেটা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে, দিচ্ছে না। তবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেছেন, সেটা দেখেই এই দলে যোগ দিলাম।”
CPIM-র পাশাপাশি একাধিক ISF কর্মীরাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানানো হয়।