আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা এবং দুর্গাপুরে CPI(M) এর সমাবেশে পাথর নিক্ষেপের বিরুদ্ধে দলের ডাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্র এলাকা থেকে যে সমাবেশ হয়েছিল পুলিশ তা থামিয়ে দেয়। এর ফলে র্যালিটি অন্য পথ অর্থাৎ গান্ধী মোড সার্কাস গ্রাউন্ড দিয়ে চলে যায়। র্যালিটি হেলথওয়ার্ল্ড হাসপাতাল ও গান্ধী মোড সার্ভিস লেন হয়ে পেট্রোল পাম্প রোড পর্যন্ত যায়।
CPI(M) এর সমাবেশকে সামনে রেখে পুরো শহরের কেন্দ্র এলাকা পুলিশ ক্যাম্পে পরিণত হয়। সিটি সেন্টার এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই জিটি রোডের সার্ভিস লেনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের ডেপুটি কমিশনার-ইস্ট অভিষেক গুপ্ত এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন। মহিলা পুলিশ কোরের পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্সও প্রস্তুত ছিল।
ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, যিনি CPI(M) সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারকে অভিশাপ দিয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশকে ঢাল বানিয়ে আন্দোলন থামাতে চাইছে মমতা সরকার। এতে পুরো পুলিশ বাহিনী জড়িত। পুলিশের বাধার জেরে জিটি রোডে বসে বিক্ষোভ দেখাতে হয় আন্দোলনকারীদের। মমতার পুলিশ যতই বাধা সৃষ্টি করুক না কেন, আন্দোলন কমার বদলে বাড়বে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মীনাক্ষী। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন এখন গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে। শিক্ষানবিশ লেডি ডাক্তারের নৃশংস খুনিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুর CPI(M)-এর সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় গ্রেফতার নয় তৃণমূল সমর্থক
অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের নির্দেশে CPI(M) সমাবেশে পাথর ছোড়া হচ্ছে এবং পার্টি অফিসে বোমা হামলা করা হচ্ছে। এ সবই হচ্ছে আন্দোলনকে দমন করার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ব্যর্থ হবে। আন্দোলনের সময়, প্রাক্তন CPI(M) সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, জামুদিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক জাহানারা খান, গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, বিপেন্দ্রু চক্রবর্তী, বিনয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী, রাকেশ শর্মা, তুফান মণ্ডল সহ কয়েকশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।