Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: ধবধবে সাদা মুক্তর মতো দাঁত আমাদের সকলেরই পছন্দ। কিন্তু আমাদের কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, দাঁতের অযত্ন এবং কেমিক্যাল যুক্ত পণ্যের ব্যবহারের কারণে দাঁত হলুদ হয়ে যায়, মাড়িতে যন্ত্রণা, দাঁতে পোকা, দাঁতের যন্ত্রণার মতো নানান সমস্যায় ভুগতে হয়। অনেক রকম ঘরোয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করে, বিভিন্ন রকমের টুথ পেস্ট ও ব্রাশ ব্যবহার করেও আখেরে কোনও লাভ হয় না।
দাঁতের নানান সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা দেখা যায় তা হল, দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া। তবে হলুদ দাঁত সাদা করার জন্য বেশ কয়েকটি সমাধান রয়েছে, কিন্তু সেগুলি আপনার দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে। দাঁতের রঙ সাদা করতে এবং দাঁতকে ভেতর থেকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে আয়ুর্বেদিক পাউডার দুর্দান্ত কার্যকর। আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়িতেই কীভাবে আয়ুর্বেদিক পাউডার তৈরি করবেন।
আয়ুর্বেদিক পাউডার তৈরির উপকরণ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক পাউডার তৈরি করতে প্রয়োজন- এক চামচ রক সল্ট, এক চামচ লবঙ্গ পাউডার, এক চামচ দারুচিনি পাউডার, এক চামচ যষ্টিমধু, শুকনো নিম পাতা এবং শুকনো পুদিনা পাতা।
আয়ুর্বেদিক পাউডার তৈরির পদ্ধতি
আয়ুর্বেদিক পাউডার তৈরি করা খুবই সহজ। উপরে তালিকাভুক্ত সমস্ত উপাদানগুলিকে একসঙ্গে মিহি করে পিষে নিন, ব্যস তৈরি হয়ে যাবে এই পাউডার! নিয়মিত ব্যবহারের জন্য এই পাউডার একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে, তাহলে জিনিসটা ভালো থাকবে।
চিকিৎসা ছাড়াই কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে এই 8 ধরনের জুস পান করুন
এই পাউডার কীভাবে ব্যবহার করবেন?
হাতের তালুতে এক চামচ পাউডার নিন, এবার আপনার ব্রাশে পাউডারটি লাগিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। ভালোভাবে মাজা হয়ে গেলে জল দিয়ে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। টানা এক সপ্তাহ এটা করলে দাঁতের রঙের অনেকটা পরিবর্তন হতে পারে।
রক সল্ট দাঁতের রঙ সাদা করতে পারে। অপরদিকে, যষ্টিমধু এবং নিম পাতা মাড়ির স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। তাছাড়া, এই আয়ুর্বেদিক পাউডারটি সেনসিটিভ দাঁত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী। এতে উপস্থিত দারুচিনি এবং লবঙ্গ desensitising agent হিসেবে কাজ করে।
সবুজ টমেটো ভিটামিন এ, সি এর ভাণ্ডার, রক্ত জমাট বাঁধার মতো ৫ টি রোগ থেকে মুক্তি দেবে
দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখার কিছু সহজ টিপস
- দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশ করুন এবং ফ্লস করুন।
- নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন। মাঝারি বা শক্ত ব্রাশ দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
- বেশিক্ষণ ব্রাশ করবেন না, ব্রাশ করার সময় খুব বেশি জোর দিয়ে দাঁত ঘষবেন না। এর ফলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হতে পারে।
- ব্রাশ করার সময়, উপরের পাটি ও নীচের পাটির দাঁতগুলি একসঙ্গে করুন এবং ব্রাশটা ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রেখে উপরের পাটির দাঁত ওপর থেকে নীচে এবং নীচের পাটির দাঁত নীচ থেকে ওপরে করে দাঁত মাজলে বেশি উপকার পাবেন।
- জিহ্বা এবং গালের ভিতরেও পরিষ্কার করা উচিত। ব্রাশের সাহায্যে বৃত্তাকার গতিতে জিহ্বা, মুখের তালু এবং গালের অভ্যন্তরে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- আপনি অটোমেটিক ব্রাশ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
- সেফটিপিন, টুথপিক কিংবা ঝাঁটার কাঠি দিয়ে দাঁত খোঁচানো সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলুন।
- দাঁতের কোনও সমস্যা দেখা দিলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।