বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ২১ জুলাই শিলিগুড়িতে নয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২১ জন। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা সম্ভব। লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিত্সা শুরু করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে, ওষুধ এবং ডায়েট দিয়ে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ানো যায় এবং পুনরুদ্ধার সম্ভব। ডেঙ্গু হলে কি খাবেন, জেনে নিন টিপসগুলো।
জলের কোনো বিকল্প নেই: ডেঙ্গু হলে প্রচুর জল পান করুন। এ সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। এটি শারীরিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতাও দূর করতে পারে।
আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদ অনুসারে হজমের উন্নতির জন্য ৬ টি প্রাকৃতিক প্রতিকার
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডেঙ্গুর কারণে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ের মধ্যে, দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। ডিম, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে ডাল, বাদাম সবই খান। এতে প্লেটলেটের সংখ্যাও বাড়বে।
পাকা পেঁপে: আপনারা অনেকেই জানেন যে পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু রোগীদের জন্য উপকারী। একইভাবে পাকা পেঁপেও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পাকা পেঁপেতে প্যাপেইন এবং কাইমোপাপেইন যৌগ রয়েছে, যা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য উপকারী।
কিউই: পাকা পেঁপের পাশাপাশি কিউই ডেঙ্গু রোগীদের জন্যও উপকারী। ডেঙ্গু থেকে দ্রুত সেরে উঠতেও সাহায্য করে এই ফল। কিউইতে তামা, পটাশিয়াম, ভিটামিন E এবং ভিটামিন A-এর মতো উপাদান রয়েছে। এই ফলটি রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যও বজায় রাখে। এছাড়াও কিউইতে উপস্থিত ভিটামিন C শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পিরিয়ডের আগে গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই ৪ ঘরোয়া টোটকায়
বেদানা: প্লেটলেটের সংখ্যা কমে গেলেই বিপদ। তাই এই সময় খাদ্যতালিকা নিয়ে সচেতন থাকা দরকার। রোজের পাতে বেদানা রাখুন। এটি দেহে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
ডাবের জল: ডেঙ্গু হলে প্রতিদিন ডাবের জল পান করুন। এটি খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বোতলজাত জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ডেঙ্গু থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।