ওয়েব ডেস্ক: রোগা ছিপছিপে শরীরে কে না চায়? কিন্তু তার সঙ্গে যদি মিলে যায় স্বাস্থ্য তাহলে ক্ষতি কি? এই ফলে দুটো সাধই পূরণ হবে। বাঙালিরা বেশ পছন্দ করেন গোলাপি আভাযুক্ত লিচু (lychee)।
এর স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু আজকে আমরা বলব ডায়েটের দিক দিয়ে এর উপকারিতার কথা। হ্যাঁ নিয়মিতভাবে খেতে পারলে মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফিগার। ছিপছিপে ফিগার পেতে হলে যারা এটি খান না তারাও এবার খাওয়া শুরু করুন এই মরশুমে।
যেহেতু গরমকালে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় তাই আমাদের এমন কিছু ফল খেতে উপদেশ দেওয়া হয় যার মধ্যে জলীয় ভাব রয়েছে। লিচুতে রয়েছে সেই জলীয় ভাব। আবার এতে যে ফ্যাট এবং ক্যালরি রয়েছে তার পরিমাণও খুবই কম।
তাই যারা ওজন কমানোর লক্ষ্যে ছুটে চলেছেন তাদের জন্য আদর্শ এই ফলটি। দৈনিক খাবারের পরে অবশ্যই খেতে পারেন। চাইলে ব্রেকফাস্ট এর পরেও ১০০ গ্রাম করে লিচু খাওয়া যেতে পারে।
গলায় কি মাছের কাঁটা বিঁধেছে? আসুন দেখে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে বার করবেন
তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে লিচুতে মিষ্টি ভাব রয়েছে। তাই এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় যাদের সুগার অথবা ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা তা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিয়ে নেবেন। কারণ এই দুই ধরনের রোগের জন্য এই ফলটি নিরাপদ নয়। এছাড়াও কি কি স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এর দেখা যাক…
১. মানবদেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে লিচু। পটাশিয়াম বেশি এবং সোডিয়াম কম রয়েছে এর মধ্যে।
২. ভিটামিন সি ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে এর মধ্যে। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে দ্রুত সাহায্য করে লিচু।
৩. ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন ইত্যাদি খনিজ পদার্থ থাকায় লিচু পেশি ও হাড়কে শক্ত করতে পারে।
৪. অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বক থাকে উজ্জ্বল। ত্বকে বলিরেখা পড়ে না তাড়াতাড়ি।