ডিজিটাল ডেস্ক : প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল, তাই শিশুরা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এই জিনিসগুলি শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণ রোধ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার, যেখানে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এই টিপসগুলি অনুসরণ করুন – Tips And Tricks To Improve Children’s Health
সকালের নাস্তা সবসময় স্বাস্থ্যকর রাখুন
বেশিরভাগ বাড়িতে, লোকেরা রুটি মাখন বা খাবারের জন্য প্রস্তুত জিনিস খায়। এই জিনিস থেকে শিশুর শরীরের জন্য পুষ্টি পাচ্ছি না। তাই সকালের নাস্তায় তাদের শুধু ঘরে তৈরি জিনিসই দিন। এর জন্য আপনি তাদের ইডলি, দোসা, উপমা বা পোহা দিতে পারেন। এতে তাদের শরীর সারাদিন চনমনে থাকবে।
ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক স্প্রেড দিন
বাচ্চাদের যদি চকোলেট স্প্রেড, জ্যাম বা কেচাপের মতো স্প্রেড খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে এই জিনিসগুলিকে স্বাস্থ্যকর জিনিস দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন। বাজারের এসব পণ্যে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এর পরিবর্তে, তাদের খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার বা বাদাম মাখনের মতো ঘরে তৈরি স্প্রেড অন্তর্ভুক্ত করুন।
খেলা এবং ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন
শিশুদের সুস্থ বৃদ্ধি এর জন্য খেলা এবং পর্যাপ্ত ঘুম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা খেলতে পছন্দ না করলে তা তাদের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়াও, অসম্পূর্ণ ঘুম তাদের ভেতর থেকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই শিশুদের খেলাধুলা ও ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন।
প্যাকেট জাত খাবার খাবেন না
প্যাকেট জাত খাবার যেমন জাঙ্ক ফুড এবং চিপস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তাই এর পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনি বাড়িতে নতুন খাবার তৈরি করে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।
আরও পড়ুন : পেটের সমস্যা ছোট না গুরুতর? এই ৫ টি পরীক্ষা করিয়ে আপনি অবিলম্বে জানতে পারেন
প্রতিদিন দুটি ফল খাওয়ান
ফলের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের অবশ্যই ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বাচ্চাদের প্রতিদিন ২ টি ভিন্ন ফল খাওয়ান, যাতে তারা ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।
প্যাকেট জাত রস বন্ধ করুন
প্যাকেট জাত রসে শুধুমাত্র প্রিজারভেটিভ এবং চিনি থাকে। এগুলো খেলে শিশুরাও অসুস্থ হতে পারে। তাই এগুলোর পরিবর্তে তাজা ফলের রস, লেবু রস, নারকেল জল দেওয়া শুরু করুন।
আরও পড়ুন : শেভ করার পর ত্বকের যত্ন নিতে পুরুষদের এই টিপস অনুসরণ করা উচিত, ত্বক হয়ে উঠবে কোমল
খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ পরিবর্তন আনুন
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় শিশুদের রোগ থেকে বাঁচাতে হলুদ ও কালো গোলমরিচের দুধ, চ্যবনপ্রাশ ও তুলসীর জল তাদের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।
এই টিপসের মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য উন্নত করা যেতে পারে। এছাড়াও মনে রাখবেন যে আপনি তাদের সাথে এই জিনিসগুলি গ্রহণ করবেন, এটি শিশুদের পক্ষে পরিবর্তনটি গ্রহণ করা সহজ করে তুলবে।