Table of Contents
ওয়েব ডেস্ক: চিকিৎসকদের মতে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা সহজেই করোনা ছাড়াও যে কোনও রোগের কবলে পড়তে পারে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন পূর্ববর্তী অসুস্থতা বা অতিরিক্ত সিগারেট বা অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এখনও কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ হাতে আসেনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার গুলি খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
১) অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় চিনির পরিমাণ সীমিত রাখুন, এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরে প্রদাহজনিত প্রোটিন, যেমন – টিউমার নেক্রোসিস আলফা, সি-রিয়্যাকটিভ প্রোটিন এবং ইন্টারলেউকিন-৬ এর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এছাড়াও, হাই ব্লাড সুগার, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার কাজকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি পরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যাই ভুগছেন? যেনে রাখুন ঘরোয়া টোটকা
২) নুন
লবণ খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে, অতিরিক্ত লবণ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য তথা চিপস, বেকারি আইটেম কিংবা ফ্রজেন ফুডগুলি নুন দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। অতিরিক্ত নুন শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে এবং অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত লবণ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যকলাপে, বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রতিক্রিয়া দমন করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লবণের পরিমাণ সীমিত করা অত্যন্ত জরুরি।
৩) ভাজাজাতীয় খাবার
ফ্রায়েড ফুডে অ্যাডভান্স গ্লাইকেশন অ্যান্ড প্রোডাক্টস (AGEs) বেশি থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় AGEs, প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে এবং সেলুলার ড্যামেজ করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে ওঠে। তাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলুর চিপস, ফ্রায়েড চিকেন, বিভিন্ন ধরনের পকোড়া, চপ, ভুজিয়া এবং অন্যান্য তৈলাক্ত ভাজা খাবার ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
কি করে বুঝবেন কিডনিতে পাথর জমেছে বা জমতে চলেছে? কীভাবে হবেন বিপদমুক্ত
৪) উচ্চমাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ
কফি এবং চা পান শরীরের পক্ষে খুব একটা খারাপ নয়। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণে ক্যাফিন গ্রহণ করলে, তা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ঘুমের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে শরীরে প্রদাহের প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
রাতের ভালো ঘুমের জন্য, ঘুমানোর ছয় ঘণ্টা আগে পর্যন্ত, কোনও কফি বা চা পান না করাই ভাল।
৫) অ্যালকোহল
অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক, এটা সকলেরই জানা। অ্যালকোহল পান করলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ে। এর ফলে নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।