ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে রাজ্য সরকারের বহু প্রতীক্ষিত ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সূচনা হতে চলেছে। এই দিন নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন চলতি বছরের ৬ নভেম্বর অর্থাৎ ভাইফোঁটার দিন থেকে শুরু হবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প।
কি এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প
তার কথাই, আগামী দিনে রেশন দোকানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হবে না। বাড়ির দরজাতেই পৌঁছে যাবে রেশন। অর্থাৎ ঘরেই পৌঁছে যাবে চাল, আটা। জানা গিয়েছে, মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যে রেশন দোকান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন রেশন ডিলাররা। রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন বা পাবেন এই সমস্ত গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে যাবে রেশন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু এ রাজ্যের বাসিন্দারাই নন, পরিযায়ী শ্রমিকরাও এই বিশেষ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছানো যাবে সেটি একটা চ্যালেঞ্জ। আর তাই ইতিমধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে রাজ্য প্রশাসনে। জানা যায়, সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে খাদ্য দফতর বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে রেশন ডিলাররাও ছিলেন। সমস্ত রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, সেই বৈঠকে কীভাবে মানুষের দরজাতে রেশন পৌঁছে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে এই প্রকল্প চালানোর জন্য প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে রেশন ডিলারদের কমিশন দিতে হবে বলে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, প্যাকেজিং খরচও রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো ডিলাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেবেন গ্রাহকের।