ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার দাবি দিবস উপলক্ষে সিপিআই(এম) সমর্থক ছাত্র ও যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মতলায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই আয়োজিত এই সভায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র ও যুবক অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সুজন ভট্টাচার্য, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুব জ্যোতি সাহা, এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান ছাড়াও মহম্মদ আতিফ এবং দেবাঞ্জন দে প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
‘শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে যে অর্থ লাগে, তা অন্যত্র চলে যাচ্ছে’, ধর্মতলায় বামেদের সমাবেশ থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ‘কাজের অধিকার’ নিয়েও তাঁর বক্তব্য, ‘চা বাগানের বেকার মানুষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের মজুরি কমছে, কাজের সুযোগ কমছে। শুধু বেতন বাড়ছে জেলে বসে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের মতো বিধায়কদের।’ বস্তুত, এদিন মীনাক্ষীর নিশানায় ছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদলই।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি CPIM এর ব্রিগেড সমাবেশ, প্রচারে রাস্তায় নামল ডিওয়াইএফআই
আগামী দিনের কথাও শোনা গেল এই যুব-নেত্রীর মুখে। তাঁর কথায়, ‘ভয় পান, সামনের দিনে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম পরিবেশটুকু থাকবে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে কারখানার গেট পর্যন্ত, গরিব, খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের কথা বাদ দিয়ে দিন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মানুষের জন্য খোলা থাকবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।’ আগামী দিনে মঞ্চ খাটিয়ে, মাইক লাগিয়ে এভাবে তাঁদের কথা জনগণের কাছে আদৌ পৌঁছে দেওয়ার পরিবেশ থাকবে কিনা, সেই নিয়েও সন্দিহান তিনি। এতেই শেষ নয়। যুব-নেত্রীর প্রশ্ন, ‘আগামী দিনে গোটা দেশের মেহনতি মানুষ এ দেশটা আমার দেশ, এমন কথা বুক ঠুকে বলতে পারবেন কিনা, তাতেও প্রশ্ন থাকছে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাস ও রাজ্যকে ‘আগাছা মুক্ত’ করার ডাক দিলেন সৃজন
ছাত্র-যুবদের উদ্দেশে মোহাম্মদ সেলিম বলেন, দেশ আজ এক চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশভাগের যন্ত্রণা থেকে দেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি যে আবারও দেশভাগের রাজনীতির নিচে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে মানুষকে মারামারি করা হচ্ছে, আবার কোথাও ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় ছাত্র-যুবকদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। কারণ ভবিষ্যৎ তাদের কাঁধে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভাজনের রাজনীতি করে নির্বাচনী সুবিধা নেওয়ার কাজে ব্যস্ত। এ কারণেই সাধারণ মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানে এসব মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। তবে দেশের পুঁজিপতিদের কোষাগার কীভাবে পূরণ হবে? এ জন্য ক্ষমতাসীন দলগুলো কীভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করা যায় সেদিকে পুরোপুরি মনোযোগী। তাই তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস হারানো জায়গা ফিরে পাচ্ছে: অধীর