আরজি কর মামলার বিচার, অপরাধীদের শাস্তি এবং স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বামফ্রন্ট রাজাবাজার ট্রাম ডিপো থেকে একটি মিছিল বের করে। এতে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ নেতারা। মিছিলটি আরজি মেডিকেল কলেজে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ বাধা দেয়। এর পর শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তির সামনে রাস্তায় বসে পড়েন বামফ্রন্ট নেতারা। এ কারণে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। বামফ্রন্ট নেতারা জানিয়েছেন, সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছে। আরজি কর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এখন সিজিও কমপ্লেক্স বা নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও আমাদের আন্দোলন চলবে।
মিছিল শেষে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘‘জনতাকে জেগে থাকতে হবে। দোষীদের কঠিন শাস্তি আদায় করে আনতে হবে। বিচারের প্রক্রিয়া যারা আটকাচ্ছে, তাদেরকে চিনে নিতে হবে। সবাইকে শাস্তি দিতে হবে। না হলে আন্দোলন চলবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিধানসভা হোক বা সংসদ, যারা অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারে না, তাদের অপেক্ষায় না-থেকে তখন বিচার ছিনিয়ে আনতে হয়। আমরা বিচার ছিনিয়ে আনতে এসেছি!’’
আরও পড়ুন : রাত পেরিয়ে সকাল, শ্যামবাজারে মেট্রোর সামনে এখনও ধর্নায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ বামের নেতারা
বিক্ষোভে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালের অপসারণেরও দাবি জানানো হয়। কামদুনি, মধ্যমগ্রাম, হাঁসখালি সহ একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করে মীনাক্ষী বলেন, “পুলিশ কমিশনার পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশেই কাজ করেছেন। কেন পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইব না? আর যারা ব্যারিকেড করে আটকে দেবার কথা ভাবছেন তাদের মনে রাখতে হবে রাস্তাটা কারোর একার নয়, ব্যারিকেড করে কত রাস্তা আটকাবেন?” সেলিমের কথায়, “লড়াই পুলিশের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু পুলিশ এখানে প্রমাণ লুকিয়ে রেখেছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আইন দেখাচ্ছেন!” সেই সঙ্গে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, “প্রতিদিন মানুষ রাত জেগে রাস্তায় নামছে। এই প্রতিবাদ ও আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের লাল সেলাম!”
বাম নেতৃত্বের মতে, তারা সিবিআই তদন্তের দিকেও নজর রাখছে। আগামী দিনে বাম দলগুলিও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে একটি কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে, যাতে ‘আরজি করের মাথা ধরার’ দাবি করা হচ্ছে। শিগগিরই সিজিও কমপ্লেক্স, নিজাম প্যালেস দখলের কর্মসূচিও হতে পারে। এ ছাড়া রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও চলবে।