তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী নাম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায়

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টে পেশ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায় রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ, শেখ সুফিয়ান থেকে পার্থ ভৌমিক, শওকত মোল্লা, জীবন সাহা, খোকন দাস মতো রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম। এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-একতরফা বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা।

তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী নাম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’র তালিকায়

এ প্রসঙ্গে, BJP মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে এত নেতা-মন্ত্রীদের সম্পর্কে একটি নিরপেক্ষ সংস্থা এই ধরণের মন্তব্য করছে। একজন রাজনৈতিক কর্মীর নামে যদি একটি সংস্থা এই মন্তব্য করে, তার থেকেই বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর। আইনের শাসনের পরিবর্তে শাসকের আইন চলছে। এই রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।’

এদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে মামহানি মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কথায়, ‘অত্যন্ত লজ্জা লেগেছে আমার। আমি নিজে একজন আইনজীবী। আমি গত ১০ বছর রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলাম। না জেনে ভুল তথ্য জমা দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। আমার নামে পশ্চিমবঙ্গের কোনও থানায় FIR তো দূরের কথা, একটা GD-ও যদি পান, তাহলে আমি তাঁকে পুরস্কৃত করব। আমার দল যা বলবে সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মানহানির মামলা করা হবে।’ পালটা BJP নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘দুষ্কৃতীরাও যে বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী হয়ে যাচ্ছে এই রিপোর্ট তার প্রমাণ। আগে এসব বিহারে হত এখন পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে। এখনই এই প্রবণতা বন্ধ না হলে আগামী দিনে চিন্তা বাড়বে।’

রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইন নিয়ায়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র

কমিশনের রিপোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসায় CBI তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। গোটা মামলার বিচারপর্ব রাজ্যের বাইরে করারও আর্জি জানানো হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করার কথাও বলা হয়েছে। দ্রুত বিচারে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে বিচার শেষ করতে হবে বলেও উল্লেখ রিপোর্টে। এ বিষয়ে বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করার কথাও জানানো হয়েছে। সাক্ষীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে এ ক্ষেত্রে। পাশাপাশি হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আবার পথে বামেরা

কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় আইনের শাসনের বদলে চলছে শাসকের আইন। পরিস্থিতির বদল না হলে বাজবে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা। ছড়িয়ে পড়বে অন্য রাজ্যেও। হাইকোর্টে রিপোর্টে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন। কোর্টের পর্যবেক্ষণে সিট গঠনের প্রস্তাবও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২ মাসে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে খুন, ধর্ষণ, ভিটেছাড়া হয়েছে মানুষ। অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উদ্ধৃত করে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রাজ্যকে আক্রমণ করেছে কমিশন। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিয়েও রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

Copyright © 2025 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news