ওয়েব ডেস্ক: দেশদ্রোহ আইনের ১২৪(এ) যৌক্তিকতা নিয়ে এবার কেন্দ্রকে সওয়াল করল সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আসলে একটি ঔপনিবেশিক আইন। ব্রিটিশরা এটিকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমন করার জন্য ব্যবহার করত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কি এই আইনের কোনও প্রয়োজন আছে? কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানির সময় এই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, “স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এই ঔপনিবেশিক এই আইনে ইংরেজরা আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করত। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে বাল গঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা হয়েছে।” এবার এই আইনের বৈধতা নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছে আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কি এই আইনের আর কোনও প্রয়োজন রয়েছে?” এই আইন নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। জানিয়েছে, এই আইনের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা হবে।
পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আবার পথে বামেরা
এদিন প্রধান বিচারপতি AG-কে বলেন, ‘এই আইনের দিকে আপনারা কেন নজর দিচ্ছেন না!’ এর জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, আদালতের উদ্বেগের বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন। তিনি জানান, দেশ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য এই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আদালত নতুন গাইডলাইন জারি করতে পারে। এই আইনের সম্পূর্ণ অবলুপ্তির পরিবর্তে প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন AG।
এদিন আদালতের বক্তব্য, “আমাদের মূল চিন্তার বিষয় হল এই আইনের অপপ্রয়োগ আটকানো এবং আইনের বৈধতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা।” উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে বিনোদন জগৎ থেকে সাংবাদিক, নেতা-মন্ত্রী, সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। অনেকে জেলেও গেছেন। এই আইনের বৈধতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, এই আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেজর জেনারেল এ জি ভোমবাটকেরে। ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রদোহী আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।