ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের বাকি কেন্দ্র গুলির নির্বাচন ও উপনির্বাচন নিয়ে যখন রাজ্যকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল কমিশন, তখন আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থ মামলার আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন ও পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সময়সীমা শেষের পথে। অবিলম্বে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত কমিশনের। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর পার হয়ে গেছে চার মাস। ২ কেন্দ্রে নির্বাচন ও ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন কবে হবে? নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্র যদি বিধায়ক না থাকে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ৬ মাসের মধ্যয়ে ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলার এই নিয়মের অন্যথা হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রমাপ্রসাদ সরকার নামে এক আইনজীবী। দ্রুত ভোটের দাবিতে জনস্বার্থ মামলার দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এবার বসিরহাট থেকে গ্রেফতার ভুয়ো IPS
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে আবার উপনির্বাচন হবে। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। গতকাল, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে মুখ্য-সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের কর্তারা। রাজ্য কতটা প্রস্তুত? বৈঠকে বিস্তারিতভাবে জানান মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এমনকি, সেপ্টেম্বরেই উপনির্বাচন চেয়ে কমিশনে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। স্রেফ প্রস্তুত থাকার নির্দেশই নয়, রাজ্যে আসতে পারেন উপ নির্বাচন আধিকারিক সুদীপ জৈন।
মানুষের পাশে ভরসা নিয়ে একমাত্র দাঁড়াতে পারে বামপন্থীরা, বললেন সুজন চক্রবর্তী
তবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তারা শুধু ১৭টি রাজ্যের কাছ থেকে উপনির্বাচন করার পক্ষে মত চেয়েছে। অনেকে মনে করছেন, কমিশনের যদি এ মাসেই ভোট করার ইচ্ছে থাকে, তবে দিন কয়েকের মধ্যেই তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।