বর্ষাকালের অর্থ সুন্দর পরিবেশ। কিন্তু এর সঙ্গে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও আসে। এই বর্ষায় মশা একটি সাধারণ সমস্যা। কারণ, যত্রতত্র জমে থাকা জলের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশও দূষিত হয়। তাই এই সময়ে মশার কামড়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি মশা বাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই বাজারের নানা ধরনের পণ্য ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ?
না, মশা দূর করতে বাজারজাত করা এসব পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যা প্রাকৃতিক ভাবে মশা তাড়াতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক-
আরও পড়ুন : তুলসি গাছ: মাত্র এক নয় পাঁচ রকমের তুলসী, জেনে নিন উপকারিতা
বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে কেউ কয়েল ব্যবহার করেন আবার কেউ মশা তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহার করেন। এসব ব্যবহার করলে মানবদেহের ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে মশার উপদ্রব কমাতে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন-
নিমের তেল– নিমের তেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মশা তাড়াতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এটি আপনার ত্বকে লাগালে মশা দূরে থাকে।
তুলসী পাতা– কিছু গাছের পাতা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে একটি হল তুলসী গাছ। এই গাছের পাতা মশা দূরে রাখতে সাহায্য করে। বাড়ির আশেপাশে এই গাছ রাখলে মশার উপদ্রব কমে।
লেমন গ্রাস অয়েল- লেমন গ্রাস অয়েল মশা তাড়াতে উপকারী। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে ঘরে মশার উপদ্রব কমে যায়।
কর্পূর- মশা দূর করতে অনেকেই কর্পূর ব্যবহার করেন। কর্পূর জ্বালিয়ে রাখলে মশা দূর করা সহজ হবে। এমনকি মশাও এর গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এতে মানবদেহের কোনো ক্ষতি হয় না।
আরও পড়ুন : আপনি কি আন্ডার আর্মের দুর্গন্ধে অস্থির? সমস্যা দূর হবে এই ৫টি পদ্ধতিতে!
লেবু এবং লবঙ্গ– মশা লেবু এবং লবঙ্গের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই এই গন্ধ থাকলে সেখানে মশা থাকবে না। বাড়িতে মসার জন্য লবঙ্গ এবং লেবু ব্যবহার করা একটি পুরানো পদ্ধতি। ঘরের বিভিন্ন স্থানে এটি রাখুন। এতে মশা দূরে থাকবে।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করে আমরা মশার সমস্যা কমাতে পারি। যার ফলে আমাদের ঘর মশা থেকে নিরাপদ থাকবে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না।