বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। এই মৌসুমে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কলেরা এবং টাইফয়েড সাধারণত বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি হয়। এর একটি কারণ রোগ সংক্রমিত ও দূষিত জল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কলেরাকে একটি তীব্র ডায়রিয়াজনিত রোগ হিসাবে বর্ণনা করে যা চিকিত্সা না করা হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। কলেরা সাধারণত ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত খাবার বা জল খাওয়ার কারণে হয়।
যেহেতু জল ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের অন্যতম বাহক, তাই বিশুদ্ধ পানীয় জলের অনুপলব্ধতা প্রায়শই এই ধরনের রোগের কারণ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে অপরিশোধিত জলের কারণে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এছাড়াও, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে বসবাস কলেরার ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন : বাড়ির চারদিক থেকে মাকড়সার জাল উঁকি দিচ্ছে, ঘরোয়া উপায়ে তাড়ান মাকড়সা
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কলেরার ৪ মিলিয়নেরও কম ঘটনা রিপোর্ট করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২১০০০ থেকে ১৪৩০০০ মানুষ এই রোগে মারা গেছে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ এবং ওরাল রিহাইড্রেশন চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই নিরাময় করা যায়, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি দেওয়া হয়।
কলেরার লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১২ ঘণ্টা থেকে ৫ দিন সময় লাগে। কিন্তু এর কিছু সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ডিহাইড্রেশন, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, পেশীর ক্র্যাম্প ইত্যাদি। তবে ভাইরাল কলেরায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। কলেরা প্রাথমিকভাবে একটি জলবাহিত রোগ, তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল খাওয়া অপরিহার্য। এছাড়াও, সঠিক পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : ঘুমানোর মধ্যে যদি আপনার পায়ের শিরা টান ধরে, তাহলে এই ১০ টি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে দেখুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলেরা এড়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হল হাইড্রেশন, যা ORS-এর মাধ্যমে করা হয়। এ ছাড়া গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। কলেরা এড়াতে বিশুদ্ধ জল পান করুন। খাদ্য সামগ্রী ঢেকে রাখুন এবং সঠিকভাবে রান্না করুন। নিয়মিত হাত ধুতে হবে, বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর। কলেরার বিরুদ্ধে টিকাও পাওয়া যায়, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
আপনার বা আপনার পরিচিত কারো কলেরার লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।