কলকাতা। পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। লাগু হয়েছে পিএফ ট্যাক্সের ( PF tax ) নয়া নিয়ম। ২০২১ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ঘোষণা করেছিলেন যে নতুন আর্থিক বছরে যাদের আয় বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি তাদের এবার থেকে কর দিতে হবে। পাশাপাশি কোনো ব্যক্তির পিএফে যদি আড়াই লক্ষ টাকার বেশি জমা হয় তাহলে সেই আমানতের উপর ১০ শতাংশ হারে কর চাপানো হয়েছে।
এখন পিএফে এই আড়াই লক্ষ টাকা জমার ক্ষেত্রে আপনার নিজের ও আপনার কর্মস্থল উভয়েরই অবদান রয়েছে। অনেকেই নিজের উদবৃত্ত টাকাও পিএফে জমিয়ে সেটাকে অবসরকালীন ভাতা হিসেবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু এই নয়া নিয়মের কঠোরতা এখানেই। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, পিএফ ট্যাক্সের এই নয়া নীতি কেবল তাঁদের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাদের বেতনের ভাগ ছাড়াও কর্মস্থল থেকে পিএফ অ্য়াকাউন্টে বাড়তি টাকা আসে। সীতারমন জানান, যাদের ক্ষেত্রে কেবল কর্মীরাই পিএফে টাকা জমান তাঁদের কর ছাড়ের নিম্নসীমা ৫ লক্ষই থাকছে। সেক্ষেত্রে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের করদানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না বলেই দাবি অর্থমন্ত্রীর।
তাহলে ব্যাপারটা কি? বিষয়টা বিশদে জেনে নেওয়া যাক। যে কোনও ব্যক্তির বেসিক বেতনের বেসিক এর ১২ শতাংশ পিএফের জন্য কাটা হয়। এর সঙ্গে, আরও ১২ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা ওই কর্মীর নামে জমা করে। অর্থাৎ একত্রে ২৪ শতাংশ টাকা ওই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে সরকারের ঘরে জমা পড়ে প্রতি মাসে। কিন্তু পিএফ ট্যাক্সের নয়া নিয়মে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কাছ থেকে মাসে ২০,৮৩৪ টাকা বা বছরে ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি কাটা হয়ে যায় তাহলে তার উপর কর বসানো হবে। তবে নয়া এই নিয়মে কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ আয়ের মানুষদেরই করের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছেন। সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য এটাকে অবশ্য ভালো উপায় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।