Table of Contents
দেশের কিছু রাজ্যে চাল প্রধান শস্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেক সময় ভাত নিয়ে উদ্বেগ থাকে যে এটি ওজন বাড়ায় এবং এটি ডায়াবেটিসে খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু ভাত খেলে কি ডায়াবেটিসের ক্ষতি হয়?
কোন ভাত আপনার জন্য সেরা?
বাদামী চাল প্রায়ই আরও ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ষষ্টিশালী মানে ৬০ দিনে যে চাল তৈরি হয় তা আমাদের জন্য সবচে সেরা। এর পাশাপাশি রাখালি চাল অর্থাৎ লাল রঙের চালও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো ও স্বাস্থ্যকর বলে হয়। আজকাল দোকানে অনেক ধরণের চাল পাওয়া যায়, তবে সবসময় মনে রাখবেন, আপনার চারপাশের জমিতে যে ধান চাষ করা হয় তা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো।
আরও পড়ুন : লেবু জলে মধু যোগ করলে কি স্থূলতা কমে? আসুন জেনে নিই কি সত্য আর কি মিথ
ভাত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!
শুধুমাত্র ন্যূনতম ১ বছর বয়সী চালই খাওয়ার উপযোগী। ঝটপট, তাজা ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয় না। এর পরিচয় হলো, হাতে একটা ধান নিয়ে ভাঙ্গলে তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যায়। এটা নতুন ধান। আপনি যে চালই ব্যবহার করুন না কেন, তা যেন কম পালিশ করা হয়।
ভাত রান্না করার সঠিক উপায়
প্রথমে অন্তত ২-৩ বার জল দিয়ে চাল ধুয়ে নিন। চাল আলতো করে ধুয়ে নিন যাতে ভেঙ্গে না যায়। এ ছাড়া চাল ধোয়ার পর গুঁড়া বা ধুলাবালি থাকলে তা তুলে ফেলতে হবে।
চাল ধুয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখুন
প্রথমবার জল নিষ্কাশনের পর দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার যে জল বের হয় তা পান করতে পারেন। একে তন্দুলোদক বলা হয়। মহিলাদের সাদা স্রাবের সমস্যা হলে এই জল দিয়ে ওষুধ হিসাবে খেতে হবে। চাল ধুয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখুন এবং তারপর রান্না করুন। একটি বড় পাত্রে এক চামচ ঘি নিন। এতে জিরা, ২ বা ৩ লবঙ্গ এবং কালো মরিচ যোগ করুন। আপনি একটি ছোট টুকরা ধনে যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : খাওয়ার পর পান চিবিয়ে খান, এই ৭টি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন
ভাত ঢাকনা ছাড়াই রান্না করতে হবে
এবার চালে জল দিন। আপনি ভাতে একটু বেশি জল যোগ করুন, যাতে মাড় পরে সরানো যায়। এবার এতে শিলা লবণ দিন। ঢেকে না রেখে ভাত রান্না করতে হবে। যখন চাল ভিতর থেকে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয় এবং বাইরে থেকে নরম থাকে অর্থাৎ চাল ৯০% সিদ্ধ হয়। গ্যাস বন্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন।
ভাত থেকে মাড় আলাদা করার উপকারিতা
এবার চাল থেকে জল নেমে গেলে পাত্রটিকে খুব কম আঁচে ২ মিনিট রাখুন এবং সেই সময়ে ঢেকে ভাত রান্না করুন। ২ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দিন। আপনার ভাত খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কুকারে ভাত রান্না করলে তা চর্বিযুক্ত হয়ে যায় এবং এই ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষতি করে। ভাত থেকে স্টার্চ আলাদা করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি কার্বোহাইড্রেট কমায় এবং ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমায়।