ওয়েব ডেস্ক: প্রথম বার সমুদ্রে পাড়ি দিল INS Vikrant। সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তের পরীক্ষামূলক ভাবে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার খবর বুধবার নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। আরব সাগরে এই বহুল প্রতীক্ষিত প্রথম ট্রায়াল চার দিন চলবে। ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে ইস্টার্ন নেভাল কমান্ডে নিযুক্ত হতে চলেছে এটি।
বিক্রান্তের প্রথম ‘সি ট্রায়াল’ সম্পর্কে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘দেশে তৈরি বিমানবাহী জাহাজ বিক্রান্তের প্রথম সমুদ্রযাত্রা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির সাফল্য। কোভিড পরিস্থিতিতেও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তদের কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দায়বদ্ধতা নতুন নজির গড়েছে। ভারতবাসী হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে’।
সংসদের অচল অবস্থা নিয়ে এক যোগে বিবৃতি জারি করল কংগ্রেস-বাম-তৃনমূল সহ ১৪ বিরোধী দল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পঞ্চাশের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় INS Vikrant। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল ভারতীয় নৌসেনার সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। কিন্তু তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।
‘বিজেমূল’ ভুল, BJP-TMC এক নয়, কাকাবাবুর জন্মদিনে নোট-নির্দেশ CPIM এর
২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু INS Vikrant-এ ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ফলে ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে। এই প্রকল্পের মূল্য ২৪,০০০ কোটি টাকা (প্রায় 3.5 বিলিয়ন ডলার)।