ওয়েব ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরথেকেই কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়িয়ে ও হাক্কানি গোষ্ঠীর প্রধানকে সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে ভারতকে লাল নিশান দেখিয়েছে জেহাদি গোষ্ঠীটি। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে ‘ছায়াযুদ্ধ’ আরও তীব্র করে তুলেছে পাকিস্তান। এহেন পরিস্থিতিতে বায়ুসেনার হাত আরও মজবুত করে স্পেন থকে ৫৬টি মাঝারি পরিবহণ বিমান কেনার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে,প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বায়ুসেনার জন্য স্পেনের সিএএসএ সংস্থার তৈরি ৫৬টি সি-২৯৫ নামের সামরিক পরিবহণ বিমান কেনা হবে। চুক্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ টি বিমান স্পেন থেকে উড়িয়ে আনা হবে। আর ৪০ টি বিমান তৈরি করা হবে এদেশে। চুক্তির ১০ বছরের মধ্যে সেগুলি দেশে তৈরি করবে টাকা কনসর্টিয়াম। এটাই প্রথম এমন একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি হল যেখানে সেনার জন্য বিমান তৈরি হবে দেশের মাটিতে এবং তা তৈরি করবে একটি বেসরকারি সংস্থা। ৫৬ টি বিমানের সবকটিকেই দেশিয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেইয়ার স্যুট দিয়ে ইন্সটল করা হবে, জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আকাশ পথে নজরদারিকে জোরদার করতে চলেছে বায়ু সেনা, খরচ ১১,০০০ কোটি টাকা
টাকা কনসর্টিয়াম ছাড়াও, এই প্রোজেক্ট দেশের এয়ারোস্পশ ইকোসিস্টেমকে উন্নত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা এই প্রোজেক্টে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ছোট, মাঝারি সংস্থা যুক্ত হবে। এইসব সংস্থাগুলি বিমানের যন্ত্রাংশ তৈরি করবে। এই প্রোজেক্ট আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা। কেননা দেশের বেসরকারি সংস্থাগুলির সামনে প্রতিযোগিতা মূলক বিমান শিল্পে অংশ গ্রহণের দরজাও খুলে দিতে চলেছে। এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিমান শিল্পে দেশের আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে আর রপ্তানিও বাড়বে।
দেশে মহিলাদের প্রতি অপরাধে প্রথম স্থানে উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় স্থানে দিল্লী
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে আমেরিকা থেকে ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এবং সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। এই বার বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঝারি সামরিক পরিবহণ বিমান পেতে চলেছে বায়ুসেনা। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত সেনা ও হাতিয়ার পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা যে কোনও লড়াইয়ের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি, লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় লালফৌজকে চমকে দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত অতিরিক্ত ফৌজ মোতায়েন করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত।