ওয়েব ডেস্ক: আপনি যদি আপনার বাচ্চাদের কৌটোর দুধ দিচ্ছেন, তবে সাবধান হন এবং অবশ্যই এই খবরটি পড়ুন। আসলে, শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে খেলার একটি বড় ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে পাঞ্জাবের পাতিয়ালায়। এখানে শিশুদের নষ্ট দুধের গুঁড়া নতুন প্যাকিংয়ে তৈরি করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের যৌথ দল অভিযান চালিয়ে বিষয়টি উদঘাটন করে। কারখানার ম্যানেজার ও এখানে কর্মরত এক জন কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের দল। বিষয়টি আগাম তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের প্রায় এক লাখ ক্যান উদ্ধার করা হয়েছে যার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
পাতিয়ালার শিল্পাঞ্চলে, স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ যৌথভাবে পদক্ষেপ নিয়ে সোমবার গভীর রাতে শিশুদের গুঁড়ো দুধের প্যাকিং কারখানায় অভিযান চালায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ এক লাখ দুধের কার্টন উদ্ধার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ওষুধও।
সহকারী সিভিল সার্জন ডাঃ বিকাশ গয়াল জানান যে একটি এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) বিভাগে অভিযোগ করেছে। এর ভিত্তিতে, পুলিশ প্রশাসনের সাথে ডাঃ শৈলী জেটলির নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের দলগুলি পাতিয়ালার শিল্প এলাকায় শিশুদের জন্য দুধের গুঁড়ো প্যাকিং করা এই কারখানায় অভিযান চালায়।
BSF কর্তার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশের হাতে BMW-মার্সেডিস,নগদ ১৪ কোটি টাকা
অভিযানে থাকা দলগুলো ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ দুধের গুঁড়ো কার্টন উদ্ধার করায় হতবাক হয়ে যায়। এসব কার্টন নতুন প্যাকিংয়ে তৈরি করা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, মাল্টি-ভিটামিন এবং অন্যান্য ওষুধ।
এবার গোয়া তৃণমূল ছাড়লেন গোয়ার নেতা অ্যালেক্সিও রেজিনাল্ডো
এসবই বিভাগ দখলে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কারখানার ম্যানেজার ও সেখানে কর্মরত এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ম্যানেজার বর্তমানে কারখানার মালিক দিল্লিতে থাকার কথা বলছেন। ডক্টর বিকাশ গয়াল জানান, দুধের নমুনাও নেওয়া হয়েছে যাতে তা নকল কি না তাও নিশ্চিত হওয়া যায়। তদন্ত শেষে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।