ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের পুরনো নেতা-কর্মীদের ঘরে ফেরার পালা চলছেই। এরই মধ্যে ঘরওয়াপসি হল প্রাক্তন তৃণমূল নেতার। নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ২০১৫ সালে। পেয়ে যান রাজ্য কমিটির সদস্য পদ। এবার ঘরে ফিরলেন সুজিত।
রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জেলা নেতা উজ্জ্বল প্রামাণিক। সুজিত ঘোষের হাতে পতাকা তুলে দেন স্বপন দেবনাথ ও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে জেলা বিজেপির দাবি, সুজিত ঘোষ তাঁদের দলে থাকলেও সেভাবে কখনও কাজ করেননি। স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে দলে যোগ দিলেন সুজিত ঘোষ। এতে দলের শক্তিবৃদ্ধি ঘটবে।’
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা ঘরে ফিরছেন। পুরসভা নির্বাচনের আগে দলকে আরও সংগঠিত করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে ১৮টি আসনে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তারপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের লক্ষ্যে লড়াই করলেও ৭৭ আসনে দৌড় থেমে যায় বিজেপির। এরাজ্যে কিছুতেই বিজেপিকে রাজনৈতিক জমি দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস।
মতুয়া গড়ে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি, যোগ দিলেন বিরোধীদের ৪ পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বহু কর্মী
সুজিত ঘোষের তৃণমূলে যোগদান সম্পর্কে বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, এই ধরনের বেনো জল যত দলে না থাকবে ততই বিজেপির ভাল। ওঁকে দল রাজ্য কমিটির সদস্য পদ দিয়েছিল। কিন্তু উনি কোনও কাজ করেননি। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা এই বেনো জল যাওয়াতে আখেরে বিজেপির ভাল হল।
কলকাতা-হাওড়ায় একাই লড়বে আব্বাস সিদ্দিকির দল ISF
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সমাজসেবী সুজিত ঘোষ ৩০০ জন সমর্থক নিয়ে দলে যোগ দিলেন। তিনি কোনও দল করতেন না। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা কৈলাশ পাশোয়ান ও কয়েকজন আইনজীবী দলে যোগ এসেছেন। এদিন মেট ৫০০ জন দলে যোগ দিয়েছেন।’