শুরু চিন আফগানিস্তানের নতুন সমীকরণ, চিন্তাই ভারত

by Chhanda Basak

ওয়েব ডেস্ক: ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর থেকেই আফগানিস্তানের ওপর তালিবানরা প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। এদিকে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের পরই চিনের উদ্বেগ বেড়েছে।

শুরু china afghanisthan relationship, চিন্তাই ভারত

ব্রিটিশ পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে তালিবানদের সঙ্গে গোপন আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে কোনও খবরাখবর অবশ্য মেলেনি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চিন এই আলোচনার ভিত্তিতেই তার আফগান কৌশল ও রণনীতিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

চিনের কৌশল হ’ল, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে তার আঞ্চলিক প্রভাব বাড়ানো। তালিবানদের সহায়তাতেই এই কাজ করতে চায় চিন। এর জন্য পাকিস্তানের মাধ্যমে চিন আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতেও প্রস্তুত বলে খবর। পাকিস্তানের আবেদনের প্রেক্ষিতে এখন চিন তালিবানদের পুরোপুরি সমর্থন করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর জন্য চিনের শর্ত হল, তালিবানদের আফগানিস্তানের সীমানার সঙ্গে যুক্ত করে জিনজিয়াং প্রদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। এবং উইঘুর সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

যাদবপুর-প্রেসিডেন্সি মত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাবকে কম করার জন্য এই পন্থা। পাকিস্তানের মাধ্যমে তালিবানদের পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণের নামে অর্থ সরবরাহ করছে চিন।

চিনের আসল উদ্দেশ্য হল তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর জন্য আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আফগানিস্তানে স্থিতিশীল হয়, তবেই চিনের তৈরি উৎপাদনের রফতানি ইউরেশিয়ায় সহজ ভাবে পৌঁছনো সম্ভব হবে।

Copyright © 2024 NEWS24-BENGALI.COM | All Rights Reserved.

google-news