ওয়েব ডেস্ক: এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেও শেষ হয়নি, শিয়রে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেপ্টেম্বর এর শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুর দিকে তা আছড়ে পরবে বলে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রের তরফে। এরই মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। WHO-এর মুখ্য বিজ্ঞানী ডক্টর সৌম্য স্বামীনাথন জানান, সম্ভবত কোভিড অতিমারির শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে ভারত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার পর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর মতে, যেকোনো মহামারীর শেষ পর্যায়কে এন্ডেমিক পর্যায় বলা হয়। এই পর্যায়ে অতিমারীর তীব্রতা কমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেটি সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। এক সাক্ষাৎকারে এদিন সৌম্য স্বামীনাথন জানান, ‘আমরা এন্ডেমিসিটির যে পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছি সেখানে সংক্রমণের প্রভাব কম বা মাঝারি দেখা যাবে। বিগত দিনগুলির মতো তা আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে না।’
কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ়ের ব্যবধান ৮৪ দিন কেন? কেন্দ্রকে প্রশ্ন কেরালা হাইকোর্টের
বিজ্ঞানীদের মতে, ভারতের মতো বড় দেশে সংক্রমণ যে একেবারে বাড়বে না তা বলা যায় না। আলাদা আলাদা জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভিন্ন হওয়ার কারণে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় সংক্রমণ বাড়তেই পারে। বিশেষত যে সব এলাকায় প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ছিল কম বা যে এলাকায় টিকাকরণ হয়েছে সীমিত, সেখানে আগামী দিনে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমনি মত ডক্টর সৌম্য স্বামীনাথনের। ২০২২ এর মধ্যেই অতিমারীকে অতীত করে ভারত স্বাভাবিক দিনে ফেরত যেতে পারবে বলেও আশার কথা জানিয়েছেন তিনি।