ওয়েব ডেস্ক: এবার কেন্দ্রের কাছে সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ডের দুটি জোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিনের ফারাক রাখার আসল কারণ জানতে চাইল কেরল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, কিটেক্স গারমেন্টস লিমিটেড নামত একটি সংস্থার তরফে তাদের কর্মীদের দ্বিতীয় ডোজ়ের ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করা হয় কেরল হাইকোর্টে। সংস্থার তরফে জানানো হয় তাদের ৫ হাজার কর্মীকে প্রথম ডোজ়ের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজ়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে কিন্তু ৮৪ দিন পূরণ না হওয়ায় ভ্যাকসিন দেওয়া যাচ্ছে না। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি পিবি সুরেশ কুমার কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, হঠাৎ ৪ সপ্তাহের ব্যবধান কেন বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করে দেওয়া হল। একইসঙ্গে তিনি জানতে চান, দুটি ডোজ়ের মধ্যে ৮৪ দিনের ফারাক রাখার সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী। বিচারপতি নিজে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিন নেওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন বলে জানান।
পেগাসাস তদন্তে আপাতত পদক্ষেপ করবে না লকুর কমিশন, হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকার
আদালতের তরফে আরও জানতে চাওয়া হয়, টিকা ঘাটতি মেটানোর জন্যই কী এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে? যদি কার্যকারিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকে, তবে কিটেক্সের মতো সংস্থাকে ৮৪ দিনের আগেই ভ্যাকসিন দিতে দেওয়া হোক। যদি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার জন্য দুটি ডোজ়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হয়, তবে আদালতে যেন এই সংক্রান্ত গবেষণার রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়।
দেশের মধ্যে শীর্ষে মমতার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প, শংসাপত্র দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয়
সরকারি পক্ষের আইনজীবী জবাব দেওয়ার জন্য কিছু সময় চাওয়ায়, আগামী ২৬ অগস্ট এই মামলার ফের শুনানি হবে। এর আগে গত ১২ অগস্টও আদালতের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ৮৪ দিন বাদেই দ্বিতীয় ডোজ়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কেন। সেই সময়ও কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মঙ্গলবার কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়, তারা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসরণ করেই টিকাকরণ করছে। এতে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।