ওয়েব ডেস্ক: কংগ্রেস ছাড়লেন দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী কে চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন সুস্মিতা।
কয়েকদিন আগে অবধিও বাদল অধিবেশনে কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামনের সারিতে হাজির থাকতেন অসমের কংগ্রেস নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ। দিল্লি নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ছবি পোস্ট করাকে ঘিরেও রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি সুস্মিতা দেবের আক্যাউন্টও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
মাতঙ্গিনী হাজরা অসমের! বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করতে গিয়ে বিতর্কে মোদী
কংগ্রেস নেত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “তিন দশক ধরে অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করছি। এতদিন ধরে আমার পাশে থাকার জন্য সকল সতীর্থ, নেতা-মন্ত্রীদের অনেক ধন্যবাদ। এই তিন দশকের স্মৃতি আমি চিরকাল আমি মনে রাখব।” জনসেবার কাজেই তিনি জড়িত থাকবেন, এই কথা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি সনিয়া গান্ধীকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “অনবরত পথ প্রদর্শন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।” ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টের বায়োতেও নিজেকে প্রাক্তন সাংসদের পাশাপাশি প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য ও মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
বাংলার ভুল ত্রিপুরায় করবেন না, সিপিএমকে বার্তা Bratya-র
২০১৪ সালে শিলচরের সাংসদ হয়েছিলেন সুস্মিতা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রার্থী নির্বাচন ও দলে তাঁর মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত। আরও একটি জল্পনা উঠে আসছে। তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সুস্মিতা। ত্রিপুরার পরে অসমে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈকে দলে নিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেন কি না সে দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।