ওয়েব ডেস্ক: লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা ভোট। সেই উদ্দেশে ত্রিপুরাতে জমি শক্ত করতে করতে শুরু করছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় জনসংযোগে নয়া কৌশল নিলো ত্রিপুরা বিজেপি। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ধাঁচে এবার ওই রাজ্যেও শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে CM Healpline, ১৯০৫-এ ফোন করলেই নাগরিকরা সরাসরি নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই হেল্পলাইন নম্বর। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ওএসডি সঞ্জয় মিশ্র জানিয়েছেন, জনগণের সমস্যার খুব দ্রুত সমাধানের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে তৃণমূলের উত্থানের আবহে বিপ্লব দেবের এই পদক্ষেপ রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।
অবশেষে নয়াদিল্লীতে হচ্ছে বাংলা আকাদেমি, অনুমোদন দিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, এরাজ্যে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরপর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলের পর এই কর্মসূচি তৃণমূলের জন্য রীতিমতো ‘গেমচেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়ায়। দলের নিষ্ক্রিয় কর্মীরা যেমন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে। ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারও সম্ভবত সেই একই উদ্দেশে এই ধরনের টোল ফ্রি নম্বর চালু করতে চলেছে বলে মনেকরা হচ্ছে।
আড়াই লক্ষের বেশি থাকলে PF অ্যাকাউন্টে আয়কর-ছাড় বন্ধে উদ্যোগ কেন্দ্রের
এই উদ্যোগ নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, ত্রিপুরায় বিজেপি জনভিত্তি হারিয়েছে। তাই বাংলার বিভিন্ন প্রকল্প অনুকরণ করে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে চাইছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারা পালটা বলছেন, “এর সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’র কোনও সম্পর্ক নেই। জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সমস্যার সমাধান করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করছে বিজেপি সরকার।”