ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলেছে। ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে আফগানিস্তানের সরাসরি প্রতিবেশীরা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের অন্যতম শক্তিশালী রাশিয়া, তালিবানদের সঙ্গে নিজেদের মতো করে বোঝাপড়া করেছে ঠিকই, কিন্তু তা কতটা টেকসই তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। আর এই সংকটকালে রাশিয়ার হাত আবারও শক্ত করে ধরতে উদ্যোগী মোদী সরকার।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারতের ঐতিহ্যগত মিত্র রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমন্বয় এবং সহযোগিতার বিপুল ক্ষেত্র মোটের উপর একই ছিল ঠিকই। কিন্তু রাজনৈতিক উষ্ণতা ক্রমশ কমে এসেছিল গত দশ বছরে। তার প্রধান কারণ, ভারত কৌশলগত ক্ষেত্রে অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল আমেরিকার উপরে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্নে ওয়াশিংটনের ছায়া হয়েই কাজ করেছে নয়াদিল্লি, এমনটা মনে করে কূটনীতিকদের বড় অংশ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের পরিকাঠামো এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের উপস্থিতি থেকেছে আমেরিকার নির্দেশিত পথেই। ভারত ‘কোয়াড’-এ সক্রিয় অংশ নিয়েছে, রাশিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও। সামরিক সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষেত্রে আমেরিকাকে বেশি গুরুত্বও দিয়েছে।
আকাশ পথে নজরদারিকে জোরদার করতে চলেছে বায়ু সেনা, খরচ ১১,০০০ কোটি টাকা
সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে ভিনদেশী জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতি বাড়ছে। এটি ভারত সহ মধ্য এশিয়ার কিছু দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে বেশ বিপজ্জনক। জানা গিয়েছে, দু’দেশ সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার পাশাপাশি আফগানিস্তান ভিত্তিক গোয়েন্দা তথ্য তৎক্ষণাৎ বিনিময় করার জন্য ব্যবস্থার কথা ভাবছে। সে ক্ষেত্রে ভারত এবং রাশিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে গোয়েন্দা-তথ্যের বিনিময় আরও মসৃণ হবে বলে জানা গিয়েছে।