ওয়েব ডেস্ক: পুজোর আগে অনলাইনে নামি বিপণন সংস্থার অফারের সামগ্রী কিনতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-কে প্রতারণার অভিযোগ। এই ঘটনাই রিজেন্ট পার্ক ও গলফ গ্রিন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
সল্টলেকের বাসিন্দা পি কে ব্রম্ভ (৮০) নামে এক ব্যক্তি সম্প্রতি প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন গতবছর ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখ। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
ঘটনাটি কি ঘটেছিল?
জানা যায়, ডিসেম্বর মাসে অ্যামাজন প্রোমো টিম এক্সজিকিউটিভ পরিচয় দিয়ে একটি ফোন যায় ওই বৃদ্ধের কাছে। নিজেকে অ্যামাজনের ডেসপ্যাচ ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি কথা বলেন। বৃদ্ধকে অপেক্ষাকৃত অল্প দামে জিনিস কেনার প্রস্তাব দেয় ফোনের ওপারে প্রান্তে থাকা ব্যক্তি। এভাবে একটানা বেশ কয়েকবার তাঁকে ফোন করা হয়। নানাবিদ অফারের কথা জানানো হয়। শেষমেশ ৪৬ হাজার ৬৮৬ টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ব্রম্ভবাবু।
মুর্শিদাবাদ থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ভুয়ো কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স অফিসার
টাকা পাওয়ার পর কোনও কিছুই আসেনি এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অ্যামাজনের কর্মী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। এরপর প্রতারণার ঘটনা আন্দাজ করে পুলিশের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ। তদন্ত শুরু হয়। শেষমেশ রিজেন্ট কলোনি এবং রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে। ধৃতরা মনীশ কুমার (২৫), কার্তিক কুমার (২৫), প্রিয়াংশু শর্মা (২১) এবং রাকেশ কুমার (২০)। এরা রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল।
বসিরহাট সীমান্ত থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার ১ অস্ত্র কারবারি
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মণীশকুমার ঝা বিহারের বাসিন্দা, কার্তিক কুমার, প্রিয়াংশু শর্মা, রাকেশ কুমার ও দীপক কুমার ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এই পাঁচ অভিযুক্ত কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল একইসঙ্গে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে একই পদ্ধতিতে আর্থিক প্রতারণা চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ১৯টি এটিএম কার্ড, ৪টি প্যান কার্ড, ৬টি সিম, ৪টি মোবাইল ফোন, একটি রাউটার, ব্যাঙ্ক পাশবুক, চেক বই ও আঁধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
