ওয়েব ডেস্ক: লকডওন ও বর্ধিত জালানির দামের কাড়নে বাস মালিক ও রাজ্য সরকারের মধ্যে একটা টানাপড়েন আগেই চলছিল। এরই মধ্যে অনুদানের নামে লকডাউনের পর নিজেরাই ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছিল বাসমালিকরা। কোথাও সাত টাকার ভাড়া ১০, নয়ের ভাড়া ১৫, ১১-র ভাড়া ২০ টাকা হয়ে ১২-র ভাড়া ২৫ করে নেওয়া হচ্ছিল। এই নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের কাছে অভিযোগও আসছিল প্রায় দিনই। সর্বনিম্ন ভাড়া হয়ে গিয়েছিল সাতের বদলে ১০ টাকা। তারপরের ধাপগুলোয় চলতো যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া।
এর পরেই নড়েছরে বসে সরকার। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে চলন্ত বাসে হানা দেওয়া শুরু করেন মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টর বা এমভিআইরা। তাতেই পুর ব্যাপার টা সামনে আশে। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে প্রায় পঁচিশটি রুটের বাস মালিককে শোকজের চিঠি পাঠিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। গতমাসের ৩০ তারিখ এবং ৪ অক্টোবর সোমবার পরিবহণ দপ্তরে অভিযুক্ত বাস মালিকদের হাজিরা দিতে হয়েছিল। বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কারণের জন্য তাঁদের জবাবদিহি করতে হয়।
জট কাটিয়ে পুজোর আগেই ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের টাকা
৩সি/১, ২৪০, গড়িয়া—বিবাদি বাগ রুটের মিনিবাস, ২৫৯, ১২ সি/ওয়ান, ১২ সি, ১২—র মতো রুটের মালিককে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদেরকে সাবধান করে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে বাড়তি ভাড়া নেওয়া চললে বাতিল করা হবে পারমিট।
CPIM এর যুব সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন মীনাক্ষী, হতে পারেন উপনির্বাচনে প্রচারের মুখ
সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে রাজ্য সরকারের তরফে ভাড়াবৃদ্ধি করেনি সরকার। তা সত্ত্বেও ডিজেলের দামবৃদ্ধি এবং যাত্রী কম হওয়ার অজুহাতকে এই ভাড়া বাড়ানোর হাতিয়ার করেছিল বেসরকারি বাসমালিকরা। ফলে বাড়তি ভাড়াই গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে নজরদারি শুরু করে এমভিআইরা। এই নজরদারি চলবে বলেই পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাস মালিকদের দাবি, ডিজেলের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব। তাই অনুদান হিসাবে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।