ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টির আনা দলত্যাগের অভিযোগ অস্বীকার করে। বুধবার তার আইনজীবীদের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকারকে বলেছিলেন যে তিনি এখনও বিজেপিতে আছেন এবং কখনও শাসক দলে যোগ দেননি।
গত সোমবার বিধানসভার অধ্যক্ষকে দু’সপ্তাহের মধ্যে মুকুলের দলত্যাগের মামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পর বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষের ঘরে শুনানি হয়। শুনানির সময় একাধিক মামলার বিষয়ে উত্থাপন করেন মুকুল আইনজীবীরা। হাজির ছিলেন বিজেপির আইনজীবীরাও। বিধানসভার আধিকারিকদের সূত্রে খবর, শুনানিতে মুকুলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে গত ১১ জুন মোটেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেননি কৃষ্ণনগরের উত্তর বিধায়ক। বিজেপির প্রতীকে যে আসন থেকে জিতেছিলেন। পাশাপাশি গত বছরের ১১ জুন তৃণমূলের সদর দফতরে মমতা এবং অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেহাত ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেছিলেন মুকুল। এখনও তিনি বিজেপিতেই আছেন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বাংলার বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অযোগ্যতার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের জুন মাসে অযোগ্যতার আবেদনটি দায়ের করেন।
স্পীকার সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল দায়ের করেছিলেন যাতে তিনি রায়ের অযোগ্যতার জন্য আপিলের বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তটি উপস্থাপন করতে বলে কলকাতা হাইকোর্টের 28 সেপ্টেম্বরের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে।
কলকাতা হাইকোর্ট সেপ্টেম্বরে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানির পর এই আদেশ দেয়, যিনি 9 জুলাই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান হিসাবে রায়ের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তিনি টিএমসিতে ফিরে আসার দুদিন আগে। মুকুল রায়কে পরে স্পিকার পিএসি চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
ডেউচা-পাঁচামিতে আন্দোলন চলবে,আলোচনাই সিপিএম
শুনানির পর স্পিকার মিডিয়াকে বলেন, “আজ একটি দীর্ঘ শুনানি ছিল। যুক্তি উপস্থাপন করেন মুকুল রায়ের আইনজীবীরা। অধিকারীর আইনজীবীরা বলেছেন যে তারা পরবর্তী তারিখে একটি আইনি পয়েন্ট উত্থাপন করতে চান। শুনানি শেষ। আমি প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করতে চাই না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করব।”
শহরে আবার সক্রিয় মহিলা পকেটমার গ্যাং
তারইমধ্যে মুকুলের তরফে যে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল নেতারা। কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। বিশেষত ১১ জুনের ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নিয়ে একেবারে ‘স্পিকটি নট’ অবস্থান নিয়েছেন। দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত বলেন, ‘শুনানিতে মুকুলের আইনজীবীরা কি বলেছেন, তা আমি জানি না। আমরা কেউ সেখানে ছিলাম না। আমার যতদূর মনে পড়ছে, তাতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদের জন্য যখন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, তখন উনি বিজেপিতে ছিলেন।’