ওয়েব ডেস্ক: কোভিড আবহে ফাঁকা জায়গায় মেলা করার অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগের মতো কড়াকড়ি নেই বিয়েবাড়িতে। এমনকি, কোভিড বিধি মেনে জিম- যাত্রা- আউটডোর শুটিংয়েও কোন বাধা নেই। তাহলে স্কুল কেন খোলা হবে না? ফের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে।
মামলাকারীর আবেদন, “স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্টভাবে একটা পরিকল্পনা করুক। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা রাখা যায় তা নিয়ে একটা নীতি তৈরি করুক রাজ্য। আদালত অবিলম্বে নির্দেশ দিক এরাজ্যে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৫০ শতাংশ হোক বা অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে হোক, অনেক কিছুই এই পরিস্থিতিতে খোলা রয়েছে।” “সেখানে শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজ এগুলো কেন বন্ধ থাকবে?” প্রশ্ন মামলাকারীর। মামলাকারী আরও উল্লেখ করেছেন, “এতে সার্বিকভাবে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রায় দুবছর হতে চলল শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু খুললেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত বারবার নেওয়া হয়েছে তাতে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে বিনামূল্যে শিক্ষার সুবিধা অনলাইন ক্লাসের ইন্টারনেটের খরচের জন্য সেটাও পড়ুয়ারা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রেও সরকারের নীতি তৈরির করা উচিত।’’
পুজোর পর কিন্তু রাজ্যে স্কুল খুলেছিল। নভেম্বর থেকে পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। সবদিন অবশ্য সব ক্লাস হচ্ছিল না। বন্ধ ছিল প্রার্থনা, টিফিন ও খেলা। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরে বড়দিন থেকে নববর্ষ পর্যন্ত বিধিনিষেধও শিথিল করেছিল নবান্ন। ছাড় দেওয়া হয়েছিল রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বা নাইট কার্ফুতে (Nigh Curfew)। তাহলে? নতুন বছরের শুরু থেকে ফের করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ৩ জানুয়ারি থেকে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে রাজ্যে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
স্কুলছুটদের ফের স্কুলে ফেরানো নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা
রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে চলতি সপ্তাহে আরেকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “সংবিধানে সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকারের কথা বলা আছে। বর্তমানে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন করা হচ্ছে। কারণ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, হাই স্পিড ইন্টারনেট সবার কাছে থাকে না। এই ব্যয়ভার বহনের ক্ষমতাও প্রত্যেকের থাকে না। এই পদ্ধতিতে পড়াশোনা চালাতে হলে রাজ্যের সব ছাত্র-ছাত্রীদের ই-লার্নিং এর সমস্ত গ্যাজেটের খরচ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে।’’
