Table of Contents
আমরা বেশিরভাগই সঠিক ডায়েট গ্রহণ করি না। আমরা প্রতিদিন বাইরের খাবার খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। যার কারণে ঝুঁকি বাড়ছে। পেটের ভেতরে কোলনে বিষ জমা হচ্ছে। যার কারণে গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা আমাদের তাড়া করছে। এমনকি বড় রোগের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই পেটের ভেতরে উপস্থিত সমস্ত ক্ষতিকারক উপাদান যেকোনো উপায়ে অপসারণ করার চেষ্টা করুন। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আপনি কীভাবে সেই কাজে সফল হতে পারেন? উত্তরটি এই নিবন্ধে রয়েছে। বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।
লবণ জল পান করা শুরু করুন
এক গ্লাস জল গরম করুন। এতে এক চা চামচ লবণ যোগ করুন। এর পরে, অবিলম্বে এই পানীয়টির এক চুমুক পান করুন। এটি মলের মাধ্যমে শরীরে উপস্থিত সমস্ত ক্ষতিকারক উপাদান দূর করবে। আসলে, এই পানীয়টিতে ডিটক্সাইফাইং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই, গরম জলে লবণ যোগ করে পান করা উপকারী। তবে, যাদের উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগ রয়েছে তাদের এই পানীয়ের এক চুমুকও পান করা উচিত নয়। এই ভুল করলে আপনার কোনও লাভ হবে না এবং আপনি কেবল নিজের ক্ষতি করবেন। এর ফলে হৃদরোগ, কিডনি এবং মস্তিষ্কের রোগ হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাবধান থাকুন।
ফাইবার গ্রহণ বৃদ্ধি করুন
যদি আপনি পেটের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করতে চান, তাহলে আপনাকে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই আজ থেকে আপনার খাদ্যতালিকায় শাকসবজি এবং ফল থেকে শুরু করে অনেক উপকারী ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি অবশ্যই আপনার উপকার করবে। তবে যাদের আইবিএস আছে তাদের উচিত একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা এবং তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা। অন্যথায়, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। তাই সাবধান থাকুন।
আরও পড়ুন : কোমল নারকেল জল কি আপনার জন্য ভালো, জানুন বিশেষজ্ঞদের কাছে
ত্রিফলা
আমলকী, হরিতকী এবং বহেড়া – এই তিনটি ভেষজ মহা-ঔষধ ত্রিফলা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই আয়ুর্বেদিক ভেষজ মিশ্রণটি পেটের জন্য খুবই উপকারী। এর মিশ্রণ শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণে কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, ত্রিফলা সুগার, প্রেশার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সবচেয়ে ভালো। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ত্রিফলা খান। তবে, এই মিশ্রণটি খাওয়ার আগে, ডোজ সম্পর্কে আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
দই খেতে ভুলবেন না
দই একটি অত্যন্ত উপকারী দুগ্ধজাত পণ্য। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শুধু তাই নয়, দইতে প্রোবায়োটিক থাকে। এই উপাদানটি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। যার কারণে পাকস্থলী সুস্থ থাকে। অনেক জটিল রোগের ফাঁদ এড়ানো যায়। তাই যেকোনো উপায়ে নিয়মিত দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে, কোনোভাবেই মিষ্টি দই খাবেন না বরং টক দইয়ের উপর নির্ভর করুন। আশা করি, এই নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন : ভাল চর্বি বনাম খারাপ চর্বি: আমাদের শরীরের আসলে কি প্রয়োজন
সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করুন
এই পানীয়টিতে কিছু অত্যন্ত উপকারী ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। ফলস্বরূপ, সবুজ চা পান করলে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকারক উপাদান দূর হয়। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুগার, প্রেশার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অতএব, আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই পানীয়টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আপনি অবশ্যই এর থেকে উপকার পাবেন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।