পেটে কৃমি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে শিশুদের। এই কৃমি খাবারের সাথে শরীরে প্রবেশ করে এবং পেটে থাকার সময় পুষ্টি শোষণ করে, যা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। পেটে কৃমি হওয়ার পর শরীরে যে প্রধান লক্ষণগুলো দেখা যায় তা নিম্নরূপ।
1. পেটে ব্যথা এবং ক্র্যাম্প: পেটে কৃমি হলে পেটে ব্যথা এবং ক্র্যাম্প হওয়া সাধারণ। এই ব্যথা হঠাৎ বা ধীরে ধীরে শুরু হতে পারে এবং পেটের যেকোনো অংশে অনুভূত হতে পারে।
2. বমি বমি ভাব এবং বমি: পেটের কৃমি হলে বমি বমি ভাব এবং বমিও হতে পারে। এটি খাওয়ার পরে বা না খেয়েও ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনিও তামার পাত্রের জল পান করুন, জেনে নিন এর উপকারিতা ও অপকারিতা!
3. ক্ষুধা হ্রাস: পেটের কৃমি শরীর থেকে পুষ্টি শুষে নেয়, যা ক্ষুধা হারাতে পারে। শিশুরাও কম খেতে শুরু করতে পারে।
4. ওজন হ্রাস: পেটে কৃমি হলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না, যার কারণে ওজন কমতে শুরু করে।
5. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য: পেটে কৃমি হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, যা ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
6. পেটে গ্যাস এবং ফোলাভাব: পেটে কৃমি হলে পেটে গ্যাস হতে পারে এবং পেট ফুলে যেতে পারে।
7. রক্তশূন্যতা: অন্ত্রের কৃমি শরীরে আয়রনের ঘাটতি ঘটাতে পারে, যা রক্তস্বল্পতার কারণ হতে পারে। রক্তাল্পতার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্ট।
8. চুলকানি: পেটে কৃমির কারণেও মলদ্বারে চুলকানি হতে পারে।
9. ঘুমের অভাব: অনিদ্রাও পেটের কৃমির লক্ষণ হতে পারে।
10. মলে কৃমি দেখা যায়: এটি সবচেয়ে সুস্পষ্ট উপসর্গ, কিন্তু এটি সব ক্ষেত্রে হয় না।
আরও পড়ুন: রোগবালাই দূরে থাকবে, প্রতিদিন সকালে এক চিমটি হলুদ খান! জেনে নিন এর অগণিত উপকারিতা
পেটের কৃমি হলে কি করবেন:
- পেটের কৃমির লক্ষণ লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খান।
- নিয়মিত আপনার হাত ধুয়ে নিন, বিশেষ করে খাওয়ার আগে এবং টয়লেটে যাওয়ার পরে।
- খাওয়ার আগে শাকসবজি ও ফল ভালো করে ধুয়ে নিন।
- জল ফুটিয়ে পান করুন।
- আপনার ঘর পরিষ্কার রাখুন।
- শিশুদের নিয়মিত স্নান করান।
- বাচ্চাদের খেলার পর হাত ধুতে উৎসাহিত করুন।
পেটের কৃমি হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক ওষুধ ও সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি পেটের কৃমি থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং সুস্থ থাকতে পারেন।