ওয়েব ডেস্ক: জলের ওপর নাম জীবন। আমরা ছোটবেলা থেকে এইটাই পড়ে বা শিখে এসেছি। কম জল খেলে শরীরের ক্ষতি। কিন্তু উল্টোটাও সত্যি। বেশি জল খাওয়াও কিন্তু ভালো নয়, তেমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কিডনি এবং হার্টের উপর চাপ বাড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত জল খেলে রক্তের ঘনত্ব কমবে। কমবে নুনের পরিমাণও। ফুলবে শরীর, মাথা। মাথার যন্ত্রণা থেকে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি বিপুল পরিমাণে জলপানে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসলে বর্ষা হলেও রোদের তাপে বাড়ছে গরম। এর ফলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় সারা দিনে জল খাওয়ার পরিমাণও। কিন্তু অতিরিক্ত জলপানেরও খারাপ দিক আছে। তাতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। শরীর ঠিক করে কাজ করার জন্য জল অতি প্রয়োজনীয়। শরীরে জমা দূষিত পদার্থও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এ জন্য যত ঘনঘন জলপান করা যায়, ততই শরীর পরিষ্কার হয়।
মাছের তেল কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? জানুন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
কিন্তু অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেললে কি হয়?
কিডনিতে চাপ: আমাদের কিডনি প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১ লিটার মতো মূত্র উৎপাদন করতে পারে। তাই এর বেশি জল ঘণ্টা বরাদ্দে শরীরকে দিতে নেই। সে ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সোডিয়ামের ঘাটতি: অল্প সময়ের মধ্যে ৩-৪ লিটার জল খেয়ে ফেললে শরীরের প্রয়োজনীয় লবণ বেরিয়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল সোডিয়াম। এতে শরীরের কাজকর্মে গণ্ডগোল দেখা দেয়।
মস্তিষ্কে প্রভাব: অতিরিক্ত জল খেয়ে ফেললে যদি সোডিয়ামের মাত্রা মারাত্মক ভাবে কমে যায়, তা হলে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট হতে থাকে। তাতে পক্ষাঘাত তো বটেই এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কতটা জল খাওয়া উচিত: দিনের মাথায় ২-৩ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে বয়স, অভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে তা সামান্য এ দিক ও দিক হলে ক্ষতি নেই।
পেটের ব্যথাই ভুগছেন, Appendicitis এর ব্যথা নয়তো, বিস্তারিত যেনে নিন
বিশেষজ্ঞদের মতে, যার যত ওজন তাকে ৩০ দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যাটা বেরোবে, ঠিক তত লিটার জল দৈনিক পান করতে হবে তাঁকে। রোজ আধঘণ্টার ওয়ার্ক-আউট করলে আরও ৭০০ মিলিলিটার জল অতিরিক্ত পান করতে হবে। সবজি-ফল বেশি খেলে জল একটু কম খেলে ক্ষতি নেই। কারণ, আমরা যে পরিমাণ জল খাই, তার ২০-২৫ শতাংশ আসে খাবার থেকে। তাই জল কমও নয়, বেশিও নয়। বিপদ এড়াতে জল খেতে হবে মেপে।