ওয়েব ডেস্ক: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ? বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড টুথপেস্টে দিনে দুবার করে দাঁত মেজেও ফল পাচ্ছেন না? আর সহসা কাউকে বলাও যায় না, যে সে এই সমস্যার শিকার। সকলের সামনে অপ্রস্তুত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত নিয়ম। সহজেই মুক্তি পাবেন দুর্গন্ধের হাত থেকে।
এই সমস্যার পোশাকি নাম ‘হ্যালিটোসিস’ (Halitosis)। বিশ্বের ২৫% থেকে ৩০% মানুষ এই সমস্যা শিকার। দাঁতের ক্যাভিটি, মাড়ির অসুখ, অপরিষ্কার মুখগহ্বর ও জিভের মতো সমস্যার জন্যই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া অপুষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত মধুমেহ রোগ, গলা ও সাইনাসের সংক্রমণ, পেটের সমস্যার জন্যও মুখের ভিতর ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়।
অতিরিক্ত জলপান স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ, যেনে নিন আপনার শরীরে সঠিক জলের পরিমাণ
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই নিয়ম মেনে চলুন:
যদি আপনি বাঁধানো দাঁতের পাটি ব্যবহার করেন, প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার করুন। রাতের বেলা অবশ্যই খুলে ভিজিয়ে রাখুন জলে ৷ পরের সকালে পরিষ্কার করে আবার পরুন।
- প্রচুর জল খান ৷ মুখ ধোওয়ার সময় বেশ কিছু ক্ষণ ধরে কুলকুচি করুন। আপনার সকালের শ্বাসপ্রশ্বাস এবং সঙ্গে আপনার মনও তরতাজা হবে।
- প্রত্যেক খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করতে পারলে সবথেকে ভাল। সেটা সম্ভব না হলেও সকালে ও রাতে দু’বার দাঁত মাজতেই হবে।
- প্রতি দু’ থেকে তিন মাস পর পর পাল্টে ফেলুন টুথব্রাশ।
- দাঁতের পাশাপাশি পরিষ্কার রাখুন জিভও।
- মুখশুদ্ধি হিসেবে মুখে রাখুন লবঙ্গ ও মৌরি ৷ এদের অ্যান্টিসেপটিক গুণ হ্যালিটোসিস-এর ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করবে।
- ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি রাখুন ৷ চিবোতে পারেন পার্সলি, পুদিনার মতো সুগন্ধি পাতাও।
- বাড়িতেই বানান অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ৷ এক কাপ জলে মেশান এক চামচ বেকিং সোডা। এই মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করুন ৷ তবে খেয়াল রাখবেন, মিশ্রণ যেন গিলে ফেলবেন না।
মাছের তেল কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? জানুন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
ঘরোয়া এই উপায়ে মুখগহ্বর ও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়া দুঃসাধ্য নয়। তবে তার পরও সমস্যা রয়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন মেনে চলতে হবে ওড়াল হাইজিন। মৌসুমি তাজা ফল ও সবজি চিবিয়ে খেতে হবে। ক্যাফেইন প্রয়োজন হলে কফির বদলে চা খাওয়ার পরামর্শ। চিনিহীন চুইং গাম চেবানো যেতে পারে। দই যেমন হজমে সাহায্য করে, ঠিক তেমনই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সক্ষম। ভিটামিন সি-র পর্যাপ্ত জোগান প্রয়োজন। তাই বিভিন্ন ধরনের লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সিগারেট বা জর্দা দেওয়া পান খাওয়ার অভ্যাসও ছাড়তে হবে।