Table of Contents
ডিজিটাল ডেস্ক: পাথরের সমস্যা শরীরের কোন একটি অংশে হয় না বরং অনেক অংশে হয়, যা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। বেশির ভাগ মানুষই শুধু মনে করে পাথর মানে শুধু কিডনিতেই তৈরি করা যায়। যদিও শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশেও পাথর তৈরি হতে পারে। আসুন জেনে নেই শরীরের কোন কোন অংশে পাথরের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর থেকে মুক্তি পেতে আপনি কি করতে পারেন।
শরীরের কোথায় পাথর তৈরি হতে পারে?
1. কিডনিতে পাথর: খনিজ ও লবণ দিয়ে তৈরি পাথর কিডনির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা বিপুল, যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন। এ কারণে পিঠের নিচের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং প্রস্রাবে রক্তদেখা যায়।
2. পিত্তথলি: কিডনি ছাড়াও গল-ব্লাডারেও পাথর তৈরির সমস্যা দেখা যায়। পিত্ত-থলির পাথরের কারণে পেটের উপরের অংশে তীব্র ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
3. মূত্রাশয় পাথর: এই পাথরগুলি ক্রিস্টালাইজড খনিজ, যা মূত্র-থলিতে তৈরি হয়। এই পাথরের কারণে তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, ঘন ঘন পায়খানা হওয়া এবং প্রস্রাবে রক্তপড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।
4. লালা গ্রন্থি পাথর: লালাগ্রন্থিতেও পাথর গঠনের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে সেসব নালীতে, যেগুলো মুখের লালা অর্থাৎ লালা বহনের কাজ করে।
5. মূত্রনালিতে পাথর: মূত্রনালিতে পাথর গঠনের সমস্যাও দেখা যায়। কিডনিকে মূত্রাশয়ের সাথে সংযোগকারী টিউবগুলিতে এই পাথরগুলি তৈরি হয়। মূত্রনালিতে পাথর তৈরি হওয়ার কারণে পিঠের নিচের অংশে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং অনেক সময় প্রস্রাবে রক্তও দেখা যায়।
6. প্রস্টেট পাথর: প্রস্টেট গ্রন্থিতেও পাথর তৈরি হতে পারে। যাইহোক, সাধারণত এর লক্ষণগুলি দ্রুত প্রদর্শিত হয় না। যদিও এটি ক্রনিক প্রোস্টাটাইটিস বা প্রোস্টেট সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
7. টনসিল পাথর: টনসিলের পাথরকে টনসিলোলিথও বলা হয়। এই পাথরগুলো টনসিলের সরু ফাটলে তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: সবুজ আপেল বনাম লাল আপেল: কোনটি স্বাস্থ্যকর?
পাথর এড়াতে কি করবেন?
1. পাথরের সমস্যা এড়াতে বেশি করে জল পান করুন।
2. সুষম খাবার খেতে থাকুন। অন্তত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খান, কারণ এটি ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের গঠন প্রতিরোধে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
3. মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ মিষ্টি জিনিস অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পাথরের সমস্যা হতে পারে।
4. কমলা লেবু ইত্যাদি সিট্রেট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি বেশি বেশি খান।
আরও পড়ুন: Shampoo: নিয়মিত শ্যাম্পু করেন, সঠিক নিয়ম জানেন কি?
5. অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে ক্যালসিয়াম স্টোন তৈরি হতে পারে।
6. অ্যালকোহল খাওয়া এড়াতে চেষ্টা করুন।
7. আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
Disclaimer: এই নিবন্ধে উল্লিখিত পদ্ধতি এবং পরামর্শগুলি অনুসরণ করার আগে, একজন ডাক্তার বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।