ওয়েব ডেস্ক: বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালনার জন্য পাটনায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বিলাসবহুল হোটেলে গণ-ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন এক যুবতী। যাদবপুর থানায় এই মর্মেই জিরো এফআইআর দায়ের করেছেন তরুণী। সেই এফআইআর পাটনা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও এখন অভিযুক্তরা অধরা। এমনটাই অভিযোগ নিগৃহীতার।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ওই তরুণীর সঙ্গে গত জুন মাসে বিহারের একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার যোগাযোগ হয়। ওই সংস্থার পক্ষে তাঁকে জানানো হয়, জুলাই মাসে পাটনায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই বিয়েতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনের জন্য ওই তরুণীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি রাজি হয়ে যান। জুলাই মাসের প্রথমেই তিনি পাটনায় পৌঁছে যান। ২ জুলাই ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে তিনি হোটেলে যান। কিংস মিডিয়া সংস্থার ওই কর্ণধারের নাম হর্ষ রঞ্জন এবং অনুষ্ঠান আয়োজকের নাম বিক্রান্ত কেজরিওয়াল। তাঁরাই জোর করে তরুণীর হোটেল রুমে ঢুকে প্রথমে মদ্যপান এবং পরে তাঁকে গণ-ধর্ষণ করেন।
তরুণীর অভিযোগ অনুযায়ী, রাত বারোটার পর তাঁর ঘরের দরজায় কেউ ধাক্কা দেয়। দরজা খুলতে দেখেন, ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার এক কর্তা ও তার বন্ধু এসেছেন। অনুষ্ঠানের টাকা মেটানোর নাম করেই তাঁর ঘরে দু’জন প্রবেশ করে। এর পরই ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁর উপর যৌন অত্যাচার শুরু হয়। দুই ব্যক্তি মিলে তাঁকে গণ-ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই কুকীর্তির পর তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। পাটনায় অভিযুক্তদের কেউ কিছু করতে পারবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়। রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তরুণী। তাঁর ধারণা হয়, তিনি পুলিশের কাছে গেলে পাটনায় তাঁকে খুন করা হতে পারে।
পঞ্জাবের আঁচ রাজস্থানে? দিন গুনছেন পাইলট অনুগামীরা
পরে কলকাতায় ফিরে আসেন যুবতী। ৪ জুলাই যাদবপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয়। ১৫ জুলাই মামলাটি পাটনা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করে কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতে পাটনার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন যুবতী। তাঁর বক্তব্য, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। উলটে নিয়মিত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে মুখ বন্ধেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যুবতীর।
উত্তরাখণ্ডে ভোটের মুখে বেকারদের ৫,০০০ টাকা করে ভাতা দেওর প্রতিশ্রুতি কেজরিওয়ালের
এদিকে, এই ঘটনায় এক অভিযুক্তের স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বাড়িতেই আছেন। কোথাও যাননি। আমাদের থেকে টাকা হাতাতে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।