ওয়েব ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছিল। একের পর এক উপনির্বাচনে গোহারা হতে হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র তিনটি আসন পেয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার পরই গেরুয়া শিবির কাটাছেঁড়ায় নেমেছে ফলাফল নিয়ে। আর সেখানেই উঠে এসেছে, দলেরই একাংশ নেতা–কর্মী কাজ না বসে গিয়েছে। এই অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থীরা।
দিন হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরভোটের ১৪৪ জন প্রার্থী। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, পুরভোটে শাসকদলের ভয় দেখানো, সন্ত্রাস ছিলই। কর্মীদের উপর হামলাও হয়েছে। কিন্তু অন্তর্ঘাত করেছে একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, কোথাও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায়, কেউ কেউ নিজে প্রার্থী হতে না পেরে, বসে গিয়েছে। দলের হয়ে কাজ করেননি।
কেন্দ্রের প্রকাশিত সুশাসনের তালিকায় শীর্ষে গুজরাট, সবার নীচে বাংলা!
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগড়ে দেন সব প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এই নির্বাচনে যত না শাসকদলের সন্ত্রাস ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল অন্তর্ঘাত। নিজেদের কর্মীরাই যদি পিছন থেকে ছোড়া মারে তাহলে তো পরাজয়ের মুখ দেখতেই হবে। কোথাও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায়, কেউ কেউ নিজে প্রার্থী হতে না পেরে, নিষ্ক্রিয় থেকে গিয়েছে। দলের হয়ে কাজ না করে অন্যকে সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁরা। তাই অন্তর্ঘাতই পরাজয়ের কারণ।
সায়ন্তনের পর আরও ‘বিদ্রোহ’, ছাড়লেন দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সাংগঠনিক দুর্বলতা পুরভোটে দলকে ডুবিয়েছে। বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই বিজেপির কর্মীদের ভয় দেখিয়ে কিংবা টাকা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুকৌশলে গোটাটা করেছে শাসকদল। প্রার্থীদের অভিযোগ পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।